কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
শহরের যদুভট্ট মঞ্চে আয়োজিত এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, সহ সভাপতি তথা দলের বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল, জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। এদিন সভার শেষে শুভেন্দুবাবু কোতুলপুরে চোরকলার দলীয় কর্মী দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত সইদুল ইসলাম মিদ্যার পরিবারের হাতে কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। পরে তিনি ওন্দাতেও সভা করেন।
শুভেন্দুবাবু বলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এক শ্রেণীর নেতার আর্থিক প্রতিপত্তি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সেটা মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। সেই সব নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে ভাবতে হবে। আমি কয়েকদিন আগে বাঁকুড়ার শালতোড়ায় সভা করতে এসে দেখেছি, আমার যাওয়ার রাস্তায় পুলিস সাধারণ মানুষকে দড়ির বেড়া দিয়ে আটকে রেখেছে। এটা কখনই কাম্য নয়। তাতে মানুষের উৎসাহে ভাটা পড়ে। তাই আগামীদিনে আমি পুলিসকে এরকম করতে বারণ করেছি। আমি নিজেকে যেমন পরিবর্তন করেছি। আপনাদেরও মাথা নত করে মানুষের দুয়ারে পৌঁছতে হবে। বুথ স্তর থেকে জেলা স্তরের প্রতিটি নেতার আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে।
পরিবহণমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে এখনও আমরা ক্ষমতায় আছি। লোকসভা ভেটের নিরিখে শতাংশের হারে আগের চেয়ে আমাদের ভোট বেড়েছে। শুধু তাই নয়, ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এখনও ১৬৪টিতে আমরা এগিয়ে আছি। তাই গেল গেল করার কোনও জায়গা নেই। কিছু মানুষ আমাদের এক শ্রেণীর নেতাদের ঔদ্ধত্যের জন্য সরে গিয়েছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আগামী দু’বছর আমাদের এই কাজটিই খুব সচেতনভাবে করতে হবে। তার জন্য প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। রাজ্য সরকারের প্রায় ৬০টি প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার কথা আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি। জনসংযোগে সেটাও বলতে হবে। দলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থায় সামান্য যে চিড় ধরেছে, যে ফাঁক ফোকর তৈরি হয়েছে তা অচিরেই ঠিক হয়ে যাবে।
যদুভট্ট সভা মঞ্চে স্থান পাওয়া নিয়ে দলীয় কর্মীদের একাংশ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে সাময়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেই প্রসঙ্গের রেশ টেনে শুভেন্দুবাবু বলেন, আমি লিফ্টে উঠে এই জায়গায় আসিনি। ছাত্র অবস্থা থেকে মাঠে ঘাটে রাজনীতি করে উঠে এসেছি। কেউ যদি ভাবেন, আমি কী করছি তা দলের ওপরতলায় পৌঁছবে না। সেটা ভুল ধারণা। যে কোনও সমস্যা ও অভিযোগের কথা আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সরাসরি জানাতে পারেন। সেই মতো আমি ব্যবস্থা নেব।