বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার নিভুজিবাজার পুরাতন হাট ও কোম্পানিডাঙা ভাগীরথী নদীর চরে দীর্ঘদিন ধরেই মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য চলছে। মাটি মাফিয়ারা নদীর চরে বেআইনি ভাবে মাটি কেটে স্থানীয় ইট ভাটাগুলিতে সরবরাহ করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই মাটি মাফিয়াদের মদতদাতা স্থানীয় ইটভাটার মালিকরা। দিনের আলোয় ও রাতের অন্ধকারে ২৪ ঘণ্টাই চলে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। পুলিস ও ভূমি দপ্তরের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে মাটি পাচার বন্ধে ধরপাকড়ও হয়। কিন্তু ফের স্বমহিমায় ফিরে যায় মাটি মাফিয়ারা। শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পাশাপাশি জেসিবি দিয়ে চলে মাটি কাটার কাজ। ডাম্পার ও ট্রাক্টরে শ’য়ে শ’য়ে গাড়ি মাটি চলে যায় ইট ভাটাগুলিতে। এতে যেমন সরকারি রাজস্ব ক্ষতি হয়। তেমনই নদীর পাড়ের ভাঙন দেখা দেয়। দিন কয়েক আগেও পুলিস অভিযান চালিয়ে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে। পাঁচটি ট্রাক্টর, একটি জেসিবি আটক করে।
রবিবার রাত ১১টা নাগাদ কোম্পানিডাঙার বাসিন্দা রবিউল শেখ নামে এক ব্যক্তি গরমের জন্য রাস্তায় হাঁটছিলেন। তিনি দেখেন মাফিয়ারা রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে পাচার করছে। তিনি প্রতিাবাদ করেন। অভিযোগ, এরপরই দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে। কেউ মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দিতে থাকে। রবিউলের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। জখম রবিউলকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন সকাল হতেই এলাকার বাসিন্দারা রবিউলকে মারধরের ঘটনায় মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। স্থানীয় ইটভাটার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কোনওভাবেই মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিতে থাকে। খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। পুলিসকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান জনতা। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিস কর্মী মাফিয়াদের মদত দিচ্ছে। এরপর র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় পুলিসকে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা আক্রান্তের দাদা ইমামুল শেখ বলেন, প্রতিদিন ডাম্পার ও ট্রাক্টরে করে বেআইনিভাবে মাটি কেটে চড়া দামে ইটভাটাগুলিতে পাচার হচ্ছে। এর পিছনে মদত দিচ্ছে ইটভাটার মালিকরা। এদিন আমার ভাই রবিউল তার প্রতিবাদ করলে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। আমরা কোনওভাবেই বেআইনি মাটি কাটতে দেব না। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিস পদক্ষেপ না নিলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব। কালনা এক পুলিস অফিসার বলেন, অভিযোগ হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।