ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের মনোরোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ নির্মল বেরা বলেন, শুধু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল নয়, গোটা রাজ্যে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একারণে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর মানসিক রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি মেডিক্যালে ৩০টি করে এবং জেলা হাসপাতালে ২০টি করে বেডের আলাদা ওয়ার্ড খোলার নির্দেশিকা জারি করেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও সেই ওয়ার্ড তৈরি হবে।
করোনা পরবর্তী সময় থেকে মানসিক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। মনোরোগ চিকিৎসকদের একটি অংশের বক্তব্য, করোনাকালে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অর্থনৈতিক ধাক্কার জেরে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত অংশের মানুষ চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়ে। এরফলে অনেকে মানসিক অবসাদ থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত হন। একই কারণে সাংসারিক কলহ বেড়ে যাওয়ায় অনেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ আবার করোনায় প্রিয়জনকে হারিয়ে মানসিক রোগী হয়ে পড়েছেন। এরকম নানা কারণে করোনা পরবর্তী সময়ে মানসিক রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ডাঃ নির্মল বেরা বলেন, আগে মানুষ মনোরোগ নিয়ে এতটা সচেতন ছিলেন না। এখন মানুষ সচেতন হওয়ায় মানসিক যেকোনও সমস্যা হলে তাঁরা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এতে এখন মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সাইক্রিয়াটিক বিভাগের আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জন করে রোগী পাচ্ছি আমরা। মাদকের নেশার কবলে পড়ে অনেকে মানসিক রোগী হচ্ছেন। ডাঃ নির্মল বেরা বলেন, বহু ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনায় অনীহা বাড়ছে। তা থেকে অনেকে বিপথগামী হয়ে পড়ছে। এটাও একটা মানসিক রোগ। সাম্প্রতিককালে এই সমস্যা নিয়ে বেশি রোগী পাচ্ছি। আবার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মোবাইল, ইন্টারনেটের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি এক ধরনের মানসিক রোগ। পারিবারিক কলহ, আর্থিক সঙ্কটের কারণে অনেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সবমিলিয়ে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেড কম থাকায় অনেকসময় মানসিক রোগীদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ডাঃ নির্মল বেরা। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এখন ২০ বেডের ইন্ডোর বিভাগ রয়েছে। কিন্তু আউটডোরে রোগীর চাপ বেশি।