ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
জেলার চা বাগান ও বনবস্তি লাগোয়া বানারহাট, নাগরাকাটা, মালবাজার, মেটেলি ব্লকে প্রায় ৩০টি স্কুল রয়েছে। এই স্কুলগুলি থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে। মাধ্যমিকের ফল নিয়ে নাগরাকাটা হিন্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোহরপ্রসাদ সুরি বলেন, আমাদের স্কুলে বামনডাঙা, টন্ডুর মতো রুগ্ন বাগান থেকে যেমন ছাত্রছাত্রী আসে, একইভাবে হিলা, কুর্তি, ভগতপুর, গাটিয়া, হিলা, চা বাগান ছাড়াও খুনিয়া বনবস্তি থেকেও আসে ছাত্রছাত্রীরা। এই বাগানগুলির অবস্থা খারাপ। অবিভাবকরাও পড়াশোনা থেকে বহুদূরে। স্কুলে দশম শ্রেণিতে ড্রপ আউটের সংখ্যা বেশি। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর মাত্র ৫০ শতাংশ পাশ করেছে।
নাগরাকাটা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পিনাকী সরকার বলেন, এবছর আমাদের স্কুলে মাধ্যমিকে পাশের হার ৮০ শতাংশ। তবে জেলার সার্বিক ফলের জন্য চা বলয় এলাকার সমস্ত স্কুলের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। ডামডিম গজেন্দ্র বিদ্যামন্দিরের মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫৩ জন। চ্যাংমারি মাধ্যমিক স্কুলের পাশের হার ৬৮ শতাংশ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুমার ছেত্রী বলেন, ভালো ফল করতে হলে স্কুলের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের বাড়ির পরিবেশ ভালো হওয়া দরকার। বহু ছাত্রছাত্রী আর্থিক কারণে মাঝপথে পড়া ছেড়ে দিচ্ছে। ভালো ফলাফলের একাটা বড় অংশ নির্ভর করছে চা বলয়ের ছাত্রছাত্রীদের ভালো পড়াশোনার উপরে। এদিকে, বিগত বছরগুলির মতো এবারও মাধ্যমিকে পাশের হারের নিরিখে জলপাইগুড়ি জেলা রাজ্যে পিছনের সারিতে। যা হতাশ করেছে শিক্ষামহলকে। সেরা দশের তালিকাতেও ঠাঁই হয়নি তিস্তাপাড়ের শহরের। অথচ এই শহরেই শতবর্ষ পুরনো একের পর এক নামী স্কুল রয়েছে। কেন এই ফল? তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বালিকা গোলে বলেন, জেলার রেজাল্ট আশানুরূপ হয়নি। কারণ জানার চেষ্টা চলছে।
জলপাইগুড়ি জেলায় ২০২০ সালে মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৬৭.৪০ শতাংশ। গত বছর ছিল ৬৭.৭৩ শতাংশ। এবার পাশের হার আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭.০৯ শতাংশ। এবার জেলায় ২৫ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। এরমধ্যে ১০ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র এবং ১৪ হাজার ৭১০ জন ছাত্রী। কিন্তু সার্বিক ফলাফল আশাব্যঞ্জক না হওয়ায় খামতির দিকগুলি সামনে আসছে।