ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
বাবার কোনওদিন কাজ জোটে, আবার কোনও দিন মেলে না। বাড়িতে নিত্য অভাব। বাবা-মা ও দাদা-দিদিকে নিয়ে পরিবার সুস্মিতার। সংসারের জোয়াল টানতে মা মিঠু রায়কেও মাঝেমাঝে দিনমজুরি করতে যেতে হয়। গরিবের সংসারে প্রতিদিনের লড়াই সুস্মিতার। এই লড়াইকে সঙ্গী করেই একাদশে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ধূপগুড়ির ঠাকুরপাঠ সংলগ্ন নীরঞ্জনপাঠের এই কিশোরীর।
সুস্মিতার কথায়, আগামী দিনে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষকতা করতে চাই। সুযোগ পেলে গবেষণা করব। কিন্তু আমাদের পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। তাই সেই ইচ্ছা কতটা পূরণ হবে, জানি না।
দিনমজুরি করে মেয়ের ইচ্ছে পূরণ করতে চান শ্যামল রায়। তাঁর কথায়, কষ্ট করে বড় ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়েছি। বড় মেয়ে কলেজে পড়ছে। ছোট মেয়ে এত ভালো রেজাল্ট করেছে। ওর পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব। সুস্মিতা বাংলায় পেয়েছে ৯৪, ইংরেজিতে ৮০, অঙ্কে ৯৪, ভৌতবিজ্ঞানে ৭৭, জীবন বিজ্ঞানে ৮৪, ইতিহাসে ৯৪ ও ভূগোলে ৯৭। সুস্মিতার সাফল্যে খুশি রাজামোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। এমন মেধাবী ছাত্রীর পড়াশোনায় সকলে এগিয়ে আসুন, চাইছেন পাড়া প্রতিবেশীরাও। এলাকার যুবক সৌমিত্র রায় বলেন, বিশেষ সাহায্য পেলে সুস্মিতা আরও এগিয়ে যেতে পারে।