কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সাগিনা মাহাত? ১৯৭০ সালে মুক্তি পাওয়া একটি বাংলা চলচ্চিত্র। তপন সিংহ পরিচালিত এই ছবিতে দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু অভিনয় করেছেন। সাগিনা মাহাত একজন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা। শ্রমিক আন্দোলনের উপর ভিত্তি করেই ছবিটি তৈরি। কার্শিয়াংয়ের তিনধরিয়ায় সেই সিনেমার শ্যুটিং হয়। সিনেমাটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। এখনও সেই সাগিনা মাহাত ও দিলীপ কুমারের নাম নিয়ে চর্চা হয় তিনধরিয়ায়। এজন্য বিনীতারা বলেন, এখানে টয় ট্রেনের লোকোমোটিভ ওয়ার্কশপ রয়েছে। যা ওয়াল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে। পাশাপাশি জনপ্রিয় সিনেমা ‘সাগিনা মাহাতর শ্যুটিং হয়েছে এখানেই। কিন্তু এখানকার বাসিন্দাদের যতটা উন্নতি হওয়া উচিত ছিল, ততটা হয়নি। শুধু বিনীতারা নন, স্থানীয় অন্যান্য বাসিন্দাদের বক্তব্যও একই। তাঁরা বলেন, টয় ট্রেনের তিনধরিয়া স্টেশন, ওয়ার্কশপ, বাংলা সিনেমা সাগিনা মাহাত সবকিছুর জন্যই স্থানটি দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। পর্যটকরা এখানে আসেন। কিন্তু, এলাকাটি সেভাবে সাজিয়ে তোলা হয়নি। পর্যটন নির্ভর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়নি। বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত। ‘উই লভ তিনধরিয়া’ সাইনবোর্ড বসানো ছাড়া তেমন কিছু হয়নি। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে ইন্ডিয়ান সাপোর্ট গ্রুপের সম্পাদক রাজ বসু বলেন, কালের নিয়মে একদা টয় ট্রেনে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সেসময় বহু আন্দোলন করে টয় ট্রেনকে বাঁচানো হয়েছে। ওয়াল্ড হেরিটেজ তকমা আদায় করা হয়েছে। তিনধরিয়ার ওয়ার্কশপ হল টয় ট্রেনের ‘হৃদয়’। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে এটাকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার। কিন্তু, কেন্দ্র, রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে সেই উদ্যোগ ব্যহত হচ্ছে।
স্থানীয়দের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলিও নিজেদের মতো করে যুক্তি খাঁড়া করছে। যা ঘিরে ভোটের ময়দান সরগরম। বিজিপিএমের মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, বিজেপি ওই এলাকার জন্য কিছুই করেনি। সেখানে রাস্তা, খেলার মাঠ ও তিনধরিয়ার কিছুটা উপরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার্থে একটি প্রশাসনিক ভবন করা হয়েছে। কিন্তু, ঐতিহাসিক ওই টয় ট্রেনের ওয়ার্কশন, স্টেশন সাজাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই। বিজেপি নেতারা ভাষণ দিলেও কিছু করেননি। ভোটের ময়দানে ওরা এর জবাব পাবে।
বিজেপির পার্বত্য সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান পাল্টা বলেন, ওই এলাকা সাজিয়ে তুলেছেন বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তা। ওয়ার্কশপও তাঁর উদ্যোগে সংরক্ষণে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিজিপিএম অপপ্রচার করছে। তাতে লাভ হবে না।