কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
২০১৪ সালে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন। তবে কাজ কিছুই করেননি। রাস্তাঘাট, পানীয় জলের মতো ন্যূনতম পরিষেবার কোনও উন্নতি হয়নি। ২০১৯ সালে রাজু বিস্তা সাংসদ হন। তারও পাঁচবছর অতিক্রান্ত। নির্বাচন এলে পাঁচ বছর বাদে এঁদের ঘুম ভাঙে। তবে এবার এখনও আমাদের গ্রামে কোনও দলের প্রার্থী প্রচারে আসেননি বলে জানান কানু সান্যালের সংগঠন সিপিআই (এমএল)-এর নেত্রী দীপু হালদার। তিনি বলেন, কানু সান্যালের নাম নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে টানাটানি দেখা যায় হামেশাই। যখন পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল, তখন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি লালপুলে পর্যটন কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। যাতে পর্যটকরা এখানে আসলে কানুবাবু যে জায়গায় থাকতেন তা দেখে যেতে পারেন। গ্রামে পেভার ব্লকের রাস্তার কাজের টেন্ডার হয়। আমরা ভেবেছিলাম, কানুবাবুর বাড়ির সামনের রাস্তাটি হবে। কিন্তু হল না, পিচ দিয়ে ভাঙা রাস্তা মেরামত করে দেয়। আর পেভার ব্লকের রাস্তার কাজটি স্কুলডাঙি থেকে লালপুলে যাওয়ার রাস্তায় নিয়ে যায়। তৃণমূল উন্নয়নের নামে কানুবাবুর নাম যেমন ব্যবহার করেছে, তেমনই দত্তকের নামে বিজেপিও তাই করেছে। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের হাতিঘিষা অঞ্চল সভাপতি আসরাফ আনসারি বলেন, প্রার্থী গোপাল লামা হাতিঘিষা থেকে নকশালবাড়িতে রোড শো করেছিলেন। তবে হাতিঘিষার সেবদুল্লাজোত বা অন্য গ্রামগুলিতে প্রার্থীকে আমরা নিয়ে যাইনি। প্রার্থী বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করছেন। দলের নেতা-কর্মীরা ঠিক থাকলে প্রার্থী ছাড়াই ভোট হয়ে যায়। যদিও কংগ্রেস প্রার্থী সহ নেতা-কর্মীদের প্রচারে পাওয়া যায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা সিপিএমের হাতিঘিষা এরিয়া কমিটির সম্পাদক মাধব সরকার। তিনি বলেন, আমরা গ্রামে গ্রামে বৈঠক, পথসভা করছি। জোট প্রার্থী কংগ্রেসের মুণীশ তামাং হাতিঘিষায় প্রচারে আসেননি। এমনকী কংগ্রেসের কোনও কর্মী আমাদের প্রচারে থাকছেন না। নকশালবাড়ি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমিতাভ সরকারের বক্তব্য, ওখানে সিপিএমের সংগঠন শক্তিশালী তাই তারাই প্রচার করেছে। তাছাড়া প্রার্থী মনোনয়ন অনেকটা দেরিতে জমা দিয়েছেন। তাই প্রচারের সময় কম পাওয়া গিয়েছে। তবে প্রার্থী নকশালবাড়িতে প্রচার করেছেন। যদিও সময়ের অভাবে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা কানু সান্যালের গ্রামে যেতে পারেননি বলে জানান মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন।