কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জেলাশাসকের দপ্তরে মঙ্গলবার প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেখানে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় আধিকারিকদের মধ্যে। বৈঠক শেষে জেলাশাসক শমা পরভীন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ একাধিক পতঙ্গবাহিত রোগ জেলায় নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। আমরা পুর এলাকা সহ ব্লকগুলিকে এখন থেকে আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপের জন্য বলেছি। সরকারি পোর্টালেও এব্যাপারে যাতে তথ্য দ্রুত আপলোড করা হয়, সে ব্যাপারেও নজর দেওয়া হচ্ছে। মাসে অন্তত দু’বার সব বাড়ি সার্ভে করার জন্য বলা হয়েছে।
জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, লাগাতার মনিটরিং চলছে। পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাগাতার কাজ হচ্ছে। আগামী দিনে আরও জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ একাধিক পতঙ্গবাহিত রোগের প্রবণতা জলপাইগুড়ি জেলায় বেশি। ২০২২ সালেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে ২০২৩-এ সেই প্রবণতায় অনেকটা লাগাম টেনে দেয় স্বাস্থ্যদপ্তর। এবারও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা যাতে একলাফে বেড়ে না যায়, তার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের শেষদিক পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১। সেখানে এপ্রিল মাসে সেই আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৪২। হিসেব বলছে, একমাসে দ্বিগুণ হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। তবে স্বস্তি একটাই বিক্ষিপ্তভাবে সংক্রমণ ধরা পড়ছে। সদর ব্লকে ন’জন, রাজগঞ্জ ব্লকে সাত, ময়নাগুড়িতে পাঁচ, ধূপগুড়িতে সাত, বানারহাটে দুই, মাল ব্লকে তিন, ক্রান্তিতে দুই এবং মাটিয়ালিতে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও জলপাইগুড়ি পুর এলাকা, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়িতে একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। জেলার অধীন শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকায় তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়াও নাগরাকাটা ব্লকে এবার ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত ৬৪ জন আক্রান্ত ওই একটি ব্লকেই। জেলার ময়নাগুড়িতে আরও একজন আক্রান্ত হয়েছে। সর্বমোট ৬৫ জন। সেইসঙ্গে চলতি মরশুমে এপর্যন্ত জাপানি এনসেফেলাইটিসে চার জন আক্রান্ত হয়েছেন। রাজগঞ্জ, ধূপগুড়ি, বানারহাট এবং মাল ব্লকে একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। স্ক্রাব ট্রাইফাসে ২২ জন এবং চিকনগুনিয়ায় তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন।