কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বালুরঘাট কেন্দ্রে এমনই একজন প্রার্থী রণেন্দ্রনাথ মালী। বয়স ৭০ বছর। তিনি বহুমুক্তি পার্টি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। এবার খাটিয়া প্রতীকে লড়াই করছেন। ২০১৪, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও তিনি লড়াই করেছেন। তবে হারলেও মুষড়ে পড়েননি। তাই প্রার্থী হয়েছেন এবারও। স্বল্প পরিসরে প্রচারও করছেন। এই নির্দল প্রার্থী বলেন, যাঁরা ভোটে জয়ী হন, তাঁরা প্রত্যেকেই মানুষকে ঠকান। এত বছর ধরে আমরা সেই ঘটনাই দেখলাম। তাই সাধারণ মানুষকে জাগিয়ে তুলতেই বারবার প্রার্থী হই।
জাহাজ প্রতীকে হেভিওয়েটদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন আরও এক প্রার্থী। তিনি নরত্তম সাহা। আমরা বাঙালির সদস্য হলেও তাঁকে এবার লড়তে হচ্ছে নির্দল হয়েই। প্রার্থীর কথায়, কিছু সমস্যার জন্য নির্দল হয়ে লড়াই করছি। আমরা চাই, বাংলা ভাষাকে সঠিক জায়গায় নিয়ে যেতে। বাঙালির ১০০ ভাগ কর্মসংস্থানের দাবিতেই আমরা লড়াই করছি। সেইমতো প্রচারে নেমেছি। নানা জায়গায় প্রচারও চালাচ্ছি।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে এমন নির্দল প্রার্থী রয়েছেন আরও অনেকে। সবমিলিয়ে ১৩ জন প্রার্থী এবার ভোটে লড়ছেন। বহুজন সমাজ পার্টির হয়ে অন্ত হাঁসদা লড়ছেন হাতি চিহ্নে। আম্বেদকারাইট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার হয়ে কোট-জামা প্রতীকে লড়াই করছেন বিশ্বনাথ মুর্মু। এসইউসি’র হয়ে টর্চ প্রতীকে ময়দানে লড়ে যাচ্ছেন বীরেন মহন্ত। এই কেন্দ্রে নৌশাদ সিদ্দিকির আইএসএফের হয়ে খাম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোজাম্মেল হক। কামতাপুর পিপলস পার্টির হয়ে ব্ল্যাকবোর্ড প্রতীকে লড়াই করছেন রুবেল সরকার। ভূমিপুত্র ইউনাইটেড পার্টির হয়ে পাত্র প্রতীকে লড়াই করছেন মহম্মদ সারওয়ারদি। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা চিহ্নে বক্তিয়ার মুজাহিত সাহানী, সিরিঞ্জ প্রতীকে হাকিম মুর্মু এবারের ভোটে লড়ছেন।
ভোট ময়দানে প্রভাবহীন এই প্রার্থীদের ব্যালটের লড়াইয়ে স্বাগত জানিয়েছে বড়দলগুলিও। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মূল লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হলেও বামেরা সেখানে অবশ্যই ফ্যক্টর। অন্যদিকে, নির্দল ও অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও একটা অংশ ভোট কাটবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সব মিলিয়ে হটসিটের লড়াই ক্রমেই জমে উঠছে বালুরঘাটে।