কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জরিমানা আরোপ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সম্প্রতি একটি নার্সিংহোম আদালতে মামলা রুজু করে। তাতে জেলা প্রশাসন জয় পেয়েছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এব্যাপারে মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, ইংলিশবাজার শহরের সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমে জেলা প্রশাসনের বিশেষ দল কয়েকমাস আগে অভিযান চালায়। তাতে একাধিক গরমিল ধরা পড়ে। নিয়ম না মানায় ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে প্রশাসন ১৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে নিয়ে শুনানি করে আরোপ করে ওই জরিমানা। পরে বিষয়টি আদালতে ওঠে। সেখানে আমরা জয় পেয়েছি। মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যাবে না। আগামী দিনে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বেআইনি কার্যকলাপ আটকাতে প্রশাসন আরও কড়া পদক্ষেপ নেবে।
মালদহে গত কয়েক বছরে ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতাল গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। আগে নজরদারির অভাবে ওইসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের একাংশ কার্যত ‘রাহাজানি’ শুরু করেছিল। রোগীর পরিবারকে ভিটেমাটি বিক্রি করে নার্সিংহোমের বিল মেটাতে হতো। তবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু ও রাজ্যের বিশেষ নিয়ন্ত্রণমূলক আইন প্রণয়নের পর পরিস্থিতি অনেকটা বদলে যায়। পরে জেলা প্রশাসনের তরফে বিশেষ দল গড়ে নার্সিংহোমগুলিতে ধারাবাহিক অভিযান চালানো শুরু হয়। এতে সুফল মেলে। পাশাপাশি, প্রশাসন কয়েক কোটি টাকা জরিমানা আদায় করে। এভাবে নজরদারি বজায় থাকলে সাধারণ রোগীরা সুষ্ঠু পরিষেবা পাবেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।