কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গত লোকসভায় জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপির ডাঃ জয়ন্তকুমার রায় পেয়েছিলেন ৭ লক্ষ ৬০ হাজার ১৪৫টি ভোট। শতাংশের হিসেবে ৫০.৬৫। তৃণমূলের বিজয়চন্দ্র বর্মন পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৪১টি ভোট। শতাংশের হিসেবে ৩৮.৩৯। সিপিএমের ভগীরথচন্দ্র রায় পেয়েছিলেন ৭৬ হাজার ৫৪টি ভোট। শতাংশের হিসেবে ৫.০৭।
এবার সিপিএমের ভোট কোনদিকে গিয়েছে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, সিপিএমের ভোট যদি বেড়ে যায়, তাহলে বিজেপি ব্যাকফুটে থাকবে। যদিও এই দাবিকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুঝে গিয়েছে সিপিএম বলে কিছু নেই। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। সেকারণে সিপিএম কেন তৃণমূলেরও একটি অংশের ভোট এবার বিজেপিতে পড়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, এবছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ভোট হয়েছে। মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একটি দল তৈরি করেছেন, যে দল আজ রাজ্য শাসন করছে। মুখ্যমন্ত্রী একাধিক জনহিতকর প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। যার সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন। এবার আমরাই জিতব।
তবে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক চঞ্চল সরকার বলেন, তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভোট হয়েছে। ৪ জুন আমরাই হাসব। সিপিএমের ভোট আরও কমবে। সিপিএমকে ভোট দিয়ে যে লাভ নেই, তা মানুষ বুঝে গিয়েছেন। এটা কেন্দ্রের ভোট। প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্ত করার ভোট।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ বলেন, গত লোকসভায় তৃণমূলের অত্যাচারে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আমাদের ভোটও তাদের ঝুলিতে পড়েছিল। তবে আমরা সেই ভোট ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। সিপিএম গ্রামেগঞ্জে বৈঠক করেছে। মানুষ শুনেছে। এবার জলপাইগুড়ি জেলায় আমাদের ফল ভালো হবে।