উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ নভেম্বর রবিবার এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগে রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য মথুরার উদ্দেশে তিনি বাড়ি থেকে রওনা দেন। এরপর ৮ নভেম্বর কাশ্মীরের কাটরা থানা থেকে জগদীশবাটির বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় এলাকায় এক নদীর তীরে সত্যেনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এমন ফোন পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। মথুরাতে কাজের উদ্দেশে গিয়ে তিনি কীভাবে কাশ্মীরে পৌঁছলেন সেই নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। রামপুর ফাঁড়ির পুলিস পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিবারের দাবি, মৃত সত্যেনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তাঁরা। রামপুর ফাঁড়ির ওসি সুব্রত মহন্ত বলেন, কাশ্মীরের পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। আমাদের কাছে এখনও লিখিত অভিযোগ কিছু হয়নি। তবে আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত করছি।
মৃতের কাকা মনি ভুঁইমালি বলেন, শুক্রবার আমার মোবাইলে কাশ্মীর থেকে ফোন আসে। ফোনে বলা হয় সত্যেনের মৃতদেহ নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের কাউকে মৃতদেহ নিতে তাড়াতাড়ি কাশ্মীর যেতে বলা হয়। সত্যেনের সঙ্গে কয়েকজনের ঝামেলা হয়েছিল। আমাদের অনুমান, পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে । আমরা ন্যায় বিচার চাই।
সত্যেন দীর্ঘদিন ধরেই ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। কিছু দিন আগে এক লেবার সাপ্লায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। সেই লেবার সাপ্লায়ারের কাছে অগ্রিম টাকা নেন সত্যেন। তাঁর অন্যত্র কাজে যাওয়ার কথা ছিল। এরপরে এলাকার আরেক ব্যক্তির মাধ্যমে মথুরাতে কাজ করতে যাবে বলে টাকা নেয়। গোটা ঘটনা নিয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। সত্যেনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে রবিবার মথুরায় কাজের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন সত্যেন। রবিবারের পরে তাঁর সঙ্গে পরিবারের আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। শুক্রবার বাড়িতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর আসে।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকদের মাথায় বাজ পড়ে। মথুরা থেকে কাশ্মীরের দূরত্ব অনেক। মথুরায় যাওয়ার নাম করে কীভাবে তিনি কাশ্মীরে গিয়ে পৌঁছলেন সেনিয়ে ভেবে কিছু কুলকিনারা করতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ সত্যেনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।
এদিকে মৃতদেহ উদ্ধারের পরে ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে কাশ্মীর পুলিস। ইতিমধ্যে সেখানে অন্তিমকাজ কাজ শেষ হয়েছে। কাশ্মীর থেকে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়ে ফিরলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে পরিবার জানিয়েছে।