উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রায়গঞ্জের শহরের নামী একটি হাইস্কুলের শিক্ষক মহিদুর আলমের স্ত্রী সাবিনা বেগম নিখোঁজ হয়ে যান। ইটাহারের কেউটাল গ্রামের বাসিন্দা মহিদুরের সঙ্গে কালিয়াগঞ্জের পুড়িয়া মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবিনার কয়েক মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর ওই দম্পতি রায়গঞ্জ শহরের ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। ২০০৫ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মহিদুর শ্বশুরবাড়িতে খোঁজখবর করে। বাপের বাড়িতে স্ত্রী যায়নি বলায় মহিদুর নিজে কালিয়াগঞ্জ থানায় ২৪ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ২৬ সেপ্টেম্বর কালিয়াগঞ্জে কালুডাঙা এলাকায় একটি জলাশয়ে প্যাকেটে ভরা এক মহিলার ছিন্ন মাথা জল থেকে উদ্ধার করে পুলিস। মহিলার দেহের অন্যান্য অংশ সেখানে পাওয়া যায়নি। মাথা দেখে মৃত গৃহবধূর বাবা হাকিমউদ্দিন মেয়ের দেহ শনাক্ত করেন। ২০০৫ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর মৃতার বাবা জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ ও সেই ঘটনায় মেয়ের শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করে কালিয়াগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মেয়েকে সন্দেহ করা ও তার উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগও দায়ের করে মৃতের পরিবার। খুনের ঘটনার পর কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁরা জামিনে ছাড়া পেলেও দীর্ঘদিন ওই মামলার শুনানি হয়। বিচারক ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে খুনের ঘটনায় জড়িত ও যড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় বৃহস্পতিবার তিনজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। মৃত ওই গৃহবধূর দেহের খণ্ড খণ্ড অংশ কালিয়াগঞ্জ ইটাহারের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিস উদ্ধার করেছিল।