বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
গঙ্গারামপুর পুরসভা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূল বনাম প্রশান্ত মিত্রের শক্তি পরীক্ষা চলছে। দু’পক্ষই বোর্ড গঠনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এনিয়ে শহরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন আমার সঙ্গে কাউন্সিলররা আছেন, এটা আমার বিশ্বাস। অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার পুলিসের মদতে আমাদের কাউন্সিলারদের বাইরে নিয়ে লুকিয়ে রেখেছেন। আমি ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করায় আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছিল। চেয়ারম্যান ১৫ দিন সময় পান মিটিং ডাকার। ভাইস চেয়ারম্যান পদটি না থাকার জন্য আরও সাতদিন সময় আমি পাচ্ছি। নির্দিষ্ট সময়েই মিটিং ডাকা হবে। ১৮ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ১৬ জন আমার সঙ্গে আছেন। কাউন্সিলারদের বাড়ি থেকে তুলে লুকিয়ে নিয়ে রাখুক না কেন আস্থা মিটিংয়ের দিন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, চেয়ারম্যানের অনাস্থার মিটিং ডাকার দিন শেষ হয়েছে। এখন ভাইস চেয়ারম্যান পদটি না থাকার কারণে তিনি সাত দিন অতিরিক্ত সময় পাচ্ছেন। তারমধ্যে মিটিং না ডাকতে পারলে আমরা তলবিসভা ডাকব। চেয়ারম্যানের কাছে কোনও কাউন্সিলার নেই। তিনি মিটিং ডাকতে পারবেন না। আমাদের কোনও পদের লোভ নেই। আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলাররা একসঙ্গে আছি। এবিষয়ে দল থেকে বহিস্কৃত কারও নাক গলানোর দরকার নেই। যদি তাঁর পক্ষে কাউন্সিলাররা থাকেন তাহলে এতো সময় নিচ্ছেন কেন? আস্থা মিটিং ডেকে প্রমাণ করুন। চেয়ারম্যান মিটিং ডাকতে পারবেন না জেনে আমরা ইতিমধ্যেই তলবিও সভার প্রস্তুতির চিঠি লিখে তৈরি করে রেখেছি। পুর আইন মেনে সময় শেষ হলেই তলবি সভার দিনক্ষণ ঠিক করে সকলকে চিঠি করা হবে।
গঙ্গারামপুর পুরসভা নিয়ে চলছে একেরপর এক নাটকীয় মোড়। গঙ্গারামপুর পুরসভার ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তার লড়াই চলছে তৃণমূলের নয়জন কাউন্সিলার ও প্রশান্ত মিত্রের মধ্যে। গত মাসের ২৫ তারিখ গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নয় জন সদস্য অনাস্থা আনেন। অনাস্থার আনার ১৫ দিন সময় চলে গেলেও মিটিং ডাকতে পারেননি প্রশান্তবাবু। এরই মাঝে গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থেকে অমলেন্দু সরকারকে অপসারণ করেন চেয়ারম্যান। তার জন্য পুরো আইন অনুযায়ী আস্থা প্রমাণের সভা ডাকার জন্য সাতদিন অতিরিক্ত সময় পাচ্ছেন প্রশান্তবাবু। তবে অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান তলবি সভার হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে বোর্ড গঠনের বিষয় রণকৌশল তৈরি করে ফেলেছেন বলেই জানিয়েছেন। প্রশান্তবাবু বরাবরই তার সঙ্গে পুরসভার কাউন্সিলারদের থাকার করা দাবি করলেও নির্দিষ্ট সময়ে মিটিং ডাকতে না পাড়ায় জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে তবে কি বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগদান করায় তার ভাই প্রশান্ত মিত্র সমর্থন হারাতে বসেছেন?