বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের জগন্নাথপুর হাইমাদ্রাসার ভূগোল বিভাগের শিক্ষক আশাদুল ইসলাম বলেন, প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে গরম খাওয়ার রাখলে সেই খাওয়ার খেয়ে পেটের অসুখ দেখা দিতে পারে। সরকারের সঠিক পরিবেশ নীতির অভাব ও জনগণের সচেতনতার অভাবের ফলে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এর ব্যবহার বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সামসি কলেজের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক রামেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, প্লাস্টিক পরিবেশের সঙ্গে না মিশে অপরিবর্তিত থেকে যায়। এর ফলে পরিবেশ দূষণ হয়। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনে আমরা এত বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার করছি যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। গরম খাবার প্লাস্টিকে বহন করার ফলে সেই খাবার আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। আমরা ওই ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলে দিই। ওসব নিকাশি নালায় প্রভাব ফেলে।
চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রাণগোপাল পোদ্দার বলেন, প্লাস্টিক বর্জন করতে আমরা ইতিপূর্বে সচেতনতা অভিযান চালিয়েছি। আমরা ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কেই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বর্জন করতে অনুরোধ করছি। কিন্তু প্রশাসনিক স্তরে এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি।
চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের ওবাইদুল্লা আহমেদ চৌধুরী বলেন, পরিবেশ দূষণ রোধে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বর্জন করা উচিত। এজন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। আমরা মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এব্যাপারে শীঘ্রই পথে নামব।
চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর-১, ২, চাঁচল-১, ২ এবং রতুয়া-১ এবং ২ এই ছ’টি ব্লকেই লাগামছাড়া প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে। বাজার ও গ্রামীণ উভয় এলাকায় এর ব্যবহার হচ্ছে। রাস্তার পাশে, নদীর ধারে এসব দিনের পর দিন স্তূপাকারে জমা করা থাকছে। নিকাশি নালায় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ জমে মুখ বন্ধ হয়ে থাকছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল পাওয়া যায়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। মুদিখানা দোকান থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, আনাজপাতি বহনের জন্য প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে।