বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
কোচবিহার জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিপ্লব সরকার বলেন, সাবেক ছিটগুলিতে উচ্চ ফলনশীল টোম্যাটো ও বেগুন চাষে চাষিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বীজ বিতরণ করা হবে। নভেম্বর মাসের মধ্যেই চাষীরা বীজ পেয়ে যাবেন। নির্বাচনের কারণে গ্রীষ্মকালীন চাষে বীজ বিতরণ করা যায়নি। বর্ষার শুরুতেই চাষিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উচ্চ ফলনশীল চাষে জোর দিতে চাইছে উদ্যানপালন দপ্তর।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতের শুরুতেই টোম্যাটোর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। ভালো মানের টোম্যাটো না হওয়ায় উৎপাদনের দুই একদিনের মধ্যে পচন শুরু হয়। দেশি টোম্যাটোতে পোকামাকড়ের উৎপাত বেশি হয়। ফলে চাষিরা টোম্যাটো চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। জেলায় কৃষি নির্ভর সাবেক ছিটের বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে টোম্যাটো ও বেগুন চাষে উৎসাহিত করা হবে। ৩০ লক্ষ টাকার হাইব্রিড টোম্যাটো বীজ চাষিদের বিতরণ করা হবে। প্রত্যেক চাষিকে ১০ গ্রাম বীজ দেওয়া হবে। প্রায় ৪০০০ চাষি ৫০ হেক্টর জমিতে টোম্যাটো চাষ করতে পারবেন। বেগুনের ক্ষেত্রেও ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে ৫০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বেগুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে উদ্যানপালন দপ্তর। দিনহাটা, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ, শীতলকুচি, মেখলিগঞ্জের সাবেক ছিটমহলবাসীদের প্রশিক্ষণ দেবে দপ্তর। ২০ জুনের পর চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। চাষিরা বিডিও অফিসে ব্যাঙ্কের বই, আধার কার্ড সহ পরিচয়পত্র জেরক্স করে সাদা কাগজে বীজের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই আবেদন বিডিও অফিসের মাধ্যমে উদ্যানপালন দপ্তরে এসে পৌঁছবে। তারপর প্রশিক্ষণ শুরু হবে। উচ্চফলনশীল বীজ সিড কর্পোরেশন থেকে আসার পর সেগুলির অঙ্কুরোদগম পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হলেই বীজ চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। বীজগুলি উন্নতমানের হওয়ায় পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হবে। উৎপাদিত টোম্যাটো পচনশীলও কম হবে। উৎপাদিত টোম্যাটো, বেগুন ধীরে ধীরে বাজারে বিক্রি করা যাবে। দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যেই ফলন হবে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বীজ বিতরণ করা হবে।