কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
সামসিংয়ের এক রিসর্ট মালিক দীপক রাহা ও ঝাণ্ডির রাজেন প্রধান বলেন, হোটেল ফাঁকা নেই, পর্যটকে ভর্তি রয়েছে। লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনারর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিব্যেন্দু দেব ও গোরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি সোনা সরকার বলেন, গত বছর মে মাসের শুরুতেই পর্যটক আসা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মে মাসের মাঝখানে নির্বাচনের জন্য পর্যটকের সংখ্যা কম ছিল। তখন থেকেই পর্যটক আসা শুরু করেছিল। এখনও পর্যটক আছে। এদিকে পুজোর বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে।
ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি ধূপঝোরা এই সমস্ত এলাকায় গোরুমারা জঙ্গল সাফারিকে কেন্দ্র করেই পর্যটকরা বিভিন্ন রাজ্য থেকে ছুটে আসেন। এবারে ১৫ জুন থেকে জঙ্গল সাফারি বন্ধ হয়ে যাবে। সেই কারণেই ১৫ জুন পর্যন্তই পর্যটকদের ভিড় থাকবে বলে জানা গিয়েছে। চাপড়ামারি, চন্দ্রচূড়, চুকচুকি, মেদলা, চাপড়ামারি এই পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ারেই পর্যটকরা ঘুরতে যায়। এই পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন জঙ্গলে গণ্ডার, বাইসন, হাতি, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ সহ নানা জীবজন্তু দেখতেই বেশি আসেন পর্যটকরা। ডুয়ার্সে এই সমস্ত এলাকায় গরম যেমন আছে তেমনি বৃষ্টি হলে ঠান্ডাও পড়ে যায়। এছাড়াও বর্ষার এই মরশুমে সবুজে ভরা ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি মনোরম যা পর্যটকদের এখানে আসতে বাধ্য করে। গোরুমারায় জঙ্গল সাফারি করার পর পর্যটকরা রিসর্টে বসে না থেকে সারাদিনের জন্য পার্শ্ববর্তী পাহাড় অঞ্চলে বেরিয়ে আসেন। যেমন ঝালং, বিন্দু, প্যারেং, তোদে তানতা, দলগাও, রঙ্গু , সামসিং ফাঁড়ি, সুনতালেখোলা, মণ্ডল গাও, সুরুক, গৈরিবাস, কুমানি টপ, নাগরাকাটা বস্তি, লাল ঝামেলা বস্তি, রকি আইল্যান্ড প্রভৃতি। তবে এবার সেই এলাকাতেও রিসর্টগুলিতে ব্যাপক ভিড় রয়েছে। লাটাগুড়িতে ৫২টি, ধূপঝোরাতে ৪২টি, নাগরাকাটায় তিনটি, রকি আইল্যান্ডে ১৫টি, সামসিং ফাঁড়িতে সুনতলেখোলা, মণ্ডল গাঁও নিয়ে প্রায় ৫০টি হোমস্টে পর্যটকে ভরা রয়েছে।