কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
রবিবার ছুটির দিন থাকায় অনেকেই বাজার যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। ব্যবসায়ীদের অনেকে সবে দোকানপাট খুলেছেন। কেউ কেউ দোকানের উদ্দেশে মাঝ রাস্তায়। এই অবস্থায় সকাল ৭টা নাগাদ ভারী বৃষ্টি এসে সব উলটপালট করে দেয়। এদিন টানা প্রায় দু’ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জল শহরের জেলা হাসপাতালের সামনে, থানা রোড, ডিভিসি রোড, কদমতলা এলাকা, পোস্ট অফিস মোড়, স্টেশন বাজার, দিনবাজার, বয়েলখানা বাজার সর্বত্র দীর্ঘক্ষণ জল রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। স্টেশন বাজারের উল্টোদিকের কলোনির বহু বাড়িতে ড্রেন উপচে জল ঢুকে যায়। নর্দমার নোংরা ময়লা এদিন শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ভাসতেও দেখা গিয়েছে। দিনবাজারের সব্জি বাজার, মাছবাজার এলাকার বহু দোকানেও জল ঢুকে যায়। ফলে অস্বস্তিতে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এদিন বেলা গড়াতে ধীরে ধীরে বৃষ্টির জমা জল নেমে যায়। এদিন সকালে এক পশলা বৃষ্টিতে এই হাল হওয়ায় শহরের বাসিন্দারা আসন্ন বর্ষা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা বলেন, এখন খাল, নদী নালা সর্বত্র সেভাবে জল নেই, তাতেও যদি বৃষ্টির জল এভাবে জমে যায় তাহলে বর্ষায় গোটা শহর ডুবে যাবে। বাসিন্দারা বলেছেন, নালায় জঞ্জাল তো রয়েছেই, পাশাপাশি শহরের অনেক ওয়ার্ডে ইমারতি সামগ্রী ফেলে নালা আটকে রাখা হয়েছে।
পুরসভার কাউন্সিলার কংগ্রেসের অম্লান মুন্সি বলেন, বর্ষার আগে এবছর অধিকাংশ নালা সাফাই হয়নি। তাই এদিন কমদতলা এলাকায় যেখানে কোনওদিন জল জমে না, সেখানেও রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ জল আটকে থাকতে দেখা গিয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, জলপাইগুড়ি শহরে রাস্তার বেহাল অবস্থা, নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অথচ পুরসভা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। পুর প্রশাসন কেন নাগরিক নালা সাফাইয়ের মতো পরিষেবার নূন্যতম কাজটাও করছে না, তার জবাব চাইতে বাসিন্দাদের নিয়ে শীঘ্রই আমরা পুরসভা অভিযান করব। শহরের বহু নালার জঞ্জাল এখনও সরেনি, একইসঙ্গে থানা রোড, ডিবিসি রোড, কদমতলা এলাকায় নালার মুখে ঢাকনা দিয়ে সম্প্রতি ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে। ওই নির্মাণ নিয়ে ইতিমধ্যে সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন। বর্ষার আগে এদিনের বৃষ্টিতে সেটাই টের পেলেন শহরের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।