বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ওষুধ ব্যবসায়ী পিন্টু ভৌমিক খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করে জানতে পেরেছে তিনি মদের নেশায় আসক্ত ছিলেন। অবাধ যাওয়া আসা ছিল পানশালায়। পুলিস সূত্রে খবর, পিন্টুবাবুর একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেক্ষেত্রে নিজের স্ত্রী সুমনার সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ক্রমেই বেড়ে চলছিল। এনিয়েই সমস্যা শুরু হয়েছিল দু’জনের মধ্যে। একাধিক রাতে দু’জনের মধ্যে তুমুল বচসা হতো। অনেক ক্ষেত্রেই তা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। পুলিসি হস্তক্ষেপে সাময়িক ঠিকঠাক থাকলেও সুমনা লক্ষ্য করেন কিছুতেই স্বামীর চরিত্রে বদল আসছে না। এরপরই তিনি পিন্টুবাবুর বন্ধু মণীন্দ্রের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন। তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
নিহতের ভাই মিন্টু ভৌমিক বলেন, প্রায় এক বছর আগে থেকেই বউদির চরিত্রে বদল লক্ষ্য করছিলাম। তবে বউদি যে অন্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন তা আমাদের জানা ছিল না। বিষয়টি ভাবতেই অবাক লাগছে। দাদার অন্য সম্পর্কের ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।
প্রসঙ্গত, নিজের বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় ৫ মে সন্ধ্যায় স্ত্রীর হাতে পিন্টুবাবু খুন হন বলে অভিযোগ। এরপরেই প্রমাণ লোপাটের জন্য প্রেমিক মণীন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে সুমনা পিন্টুবাবুর দেহ ফুলবাড়ির রাজীবপাড়ায় তিস্তা ক্যানেলের জলে ফেলে দেন। পরদিন স্বামীর নিখোঁজের ডায়েরি করেছিলেন সুমনাই। যদিও পিন্টুর পরিবারের তরফে পাল্টা অভিযোগ দায়ের হতেই পর্দা ফাঁস হয়। পুলিস দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতেই তাঁরা খুনের কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিস তাঁদের গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করে।