কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
দপ্তরের দার্জিলিং জেলা আধিকারিক পার্থ সারথী ভট্টাচার্য ও কোচবিহার জেলা আধিকারিক সত্যকাম গুরুং বলেন, দশ দিনের এই মেলাকে সফল করতে আমরা সবরকম চেষ্টা করছি। খাদির পোশাক পরে ফ্যাশন শো হবে। খাদির প্রসারের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ফ্যাশন শো’র অন্যতম ব্যিবস্থাপক তথা ময়নাগুড়ির একটি খাদি ক্লাস্টারের পরিচালন সমিতির সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, মোট ২৪ জন এই ফ্যাশন শো’তে অংশ নেবেন। তাঁদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এবারের খাদি মেলাতে মুর্শিদাবাদ সিল্ক, বালুচরী, তসর, কাঁথা স্টিচ, মসলিন খাদি সহ নানা ধরনের শাড়ি ও পোশাকের সম্ভার থাকবে। এছাড়াও শীতলপাটি, পুতুল, মুখোশ, পটচিত্র, মাদুর, কাঁথা সহ নানা ধরনের সামগ্রী মেলাতে থাকবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খাদি শিল্পীরা তাঁদের সম্ভার নিয়ে মেলাতে হাজির থাকবেন। সেই মেলারই অঙ্গ হিসাবে ফ্যাশন শো’র আয়োজন করা হয়েছে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরা এই শো’তে অংশ নেবেন। ১২জন পুরুষ ও ১২জন মহিলা এই শো’তে থাকবেন। কলকাতা থেকে ফ্যাশন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরাও আসবেন। তাঁরা গোটা বিষয়টি পরিচালনা করবেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরের উচ্চতার মাপও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারী সকলেরই খাদির পোশাক পরা বাধ্যতামূলক। মহিলারা খাদির তৈরি বিশেষ ধরনের পোশাক পড়বেন। পুরুষদের পোশাক হবে জিন্সের প্যান্টের তারউপর খাদির জামা অথবা পাঞ্জাবি। সকলেরই পায়ে বিশেষ ধরনের জুতো থাকবে। তবে মহিলাদের পেনসিল হিলযুক্ত জুতো পরানো হবে। রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের তৈরি করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করার জন্য সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দপ্তরের আধিকারিকদের মতে খাদির প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বৃদ্ধির ব্যাপারে এই উদ্যোগ যথেষ্ট কার্যকরী হবে। এই মেলা ও ফ্যাশন শো’কে ঘিরে ব্যাপক প্রচার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে আগামী ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এই ফ্যাশন শো হবে। পাশাপাশি ১০ দিনের মেলার অন্যান্য দিনও এই ধরনের শো হতে পারে। তবে সরকারি মেলাতে ফ্যাশন শো’কে ঘিরে যাতে কোনও বিতর্ক দানা বাঁধতে না পারে সেকারণে দপ্তর অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পা ফেলছে। কোনও ক্ষেত্রে এই শো যাতে শালীনতার গন্ডী না ছাড়ায় সেটাও গুরত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মেলার মঞ্চে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মেলাতে প্রতিটি কেনাকাটার উপর সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে। বাসিন্দাদের আকর্ষণ করতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।