কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এর ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের তরফেও নিষেধাজ্ঞা তোলার ইঙ্গিত মেলে। গত শনিবার পাক প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘ভারত সরকার আমাদের বিমানগুলির উপর থেকে আকাশসীমা ব্যবহারের প্রতিবন্ধকতা তুলে নিলে, আমরাও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেব। কিন্তু, আমরা সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এই খবর পেয়েছি। এই বিষয়ে সরকারি কোনও নথি এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। ভারত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে আমরাও সেই পথেই হাঁটব।’
গত ফেব্রুয়ারিতে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত বালাকোটের জয়েশ জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই ঘটনার পরই ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এরপর ২৭ মার্চ নয়াদিল্লি, কুয়ালালামপুর এবং ব্যাঙ্ককগামী বিমানগুলি বাদ দিয়ে বাকিদের জন্য আকাশপথ খুলে দেয় পাকিস্তান। আবার গত ১৫ মে ভারতের বিমানগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় তারা। মাঝে শুধু গত ২১ মে ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের জন্য এই প্রতিবন্ধকতা তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান। কিরঘিজস্তানে আয়োজিত এসসিও’র বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য সুষমাকে পাক আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল তারা। তবে, বাকিদের বাণিজ্যিক বিমানগুলির জন্য নিষেধাজ্ঞা বহালই রেখেছিল ইসলামাবাদ।
এই নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার জাঁতাকলে পড়ে বাধ্য হয়ে ভারতের আকাশসীমা ব্যবহারকারী আন্তর্জাতিক বিমানগুলি ঘুরপথে যাতায়াত শুরু করে। এতে জ্বালানি বেশি লাগায় খরচও অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে ইউরোপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে আসা বিমানগুলি সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়। এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-নয়াদিল্লি রুটের বিমান পরিষেবাতেও এই নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পাক আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে বেশ কয়েকটি রুটে বিমানের ভাড়াও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। এর মধ্যে দিল্লি-কাবুল, দিল্লি-মস্কো, দিল্লি-তেহরান এবং দিল্লি-আস্তানা রুটে ব্যাপক হারে ভাড়াবৃদ্ধি ঘটে।