বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই টের পান, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছে পাকিস্তান। পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে একদিকে চীন অন্যদিকে ইসলামিক দুনিয়ার কাছে সাহায্যের আবেদন করেন তিনি। বেজিং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও নগদ অর্থে সেই সাহায্যে আগ্রহ নেই তাদের। চীন নিজের স্বার্থকেই বেশি করে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে চীন-পাকিস্তান আর্থিক করিডর তৈরি, সড়ক নির্মাণ, ফ্লাইওভার থেকে শুরু করে পরিকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করে চলেছে। বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ তেল ও গ্যাস দিয়ে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তানকে। সৌদি আরব মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর্থিক সঙ্কট তীব্র হওয়ার পরই পাক সেনাবাহিনী কার্যত ঝুঁকে পড়ে ইমরানের দিকে। সেনাবাহিনী চেয়েছে তাঁকে সামনে আনা হলে আন্তর্জাতিক সাহায্য যেমন সহজে পাওয়া যাবে এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। নির্বাচনের সময় ইমরানের হয়ে মাঠে নামার অভিযোগ উঠেছিল সেনার বিরুদ্ধে। পুলওয়ামা কাণ্ডের জেরে বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হামলার পর ইমরান যেভাবে শান্তির প্রতিমূর্তি হয়ে উঠেছিলেন, তার কারণ একটাই, দেশের যা আর্থিক পরিস্থিতি তাতে পাকিস্তানের ঘাড়ে একটা যুদ্ধ চাপা মানেই গভীর খাদে তলিয়ে যাওয়া। এটা বুঝতে পেরেই এবার ইমরানকে যুদ্ধের জন্য উৎসাহিত করতে পারেনি পাক সেনাবাহিনী।