ভুবনেশ্বর: আগামী ৪ জুনই হবে বিজেডি সরকারের শেষদিন। সোমবার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে বেরহামপুর ও নবরংপুরের জনসভা থেকে এভাবেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও কয়েকঘণ্টার মধ্যেই মোদিকে পাল্টা কটাক্ষ ফিরিয়ে দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার একটি ভিডিও শেয়ার করেন নবীন-ঘনিষ্ঠ বিজু জনতা দলের নেতা ভি কে পাণ্ডিয়ান। সেখানে তিনি এবিষয়ে প্রশ্ন করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে। তখন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই নবীন বলেন, ‘বিজেপি অনেকদিন ধরে এই দিবাস্বপ্ন দেখছে।’ কিন্তু তা যে এবারও সফল হবে না, তা হাবেভাবেই স্পষ্ট করে দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথার রেশ ধরেই পাণ্ডিয়ান জানিয়ে দেন, আগামী ৯ জুন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ষষ্ঠবারের মতো শপথ নেবেন নবীন পট্টনায়েক।
দেশজুড়ে চলা লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই ওড়িশায় আগামী ১৩ মে থেকে চার দফায় হবে বিধানসভা নির্বাচন। সোমবার সকালে সেরাজ্যে প্রথমবারের মতো নির্বাচনী প্রচারে এসে সরাসরি বিজেডি সরকার ও নবীন পট্টনায়েককে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বেরহামপুর ও নবরংপুরের জনসভা থেকে আরও একবার ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন মোদি। তিনি বলেন, ওড়িশায় এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী দরকার, যিনি ওড়িয়া ভাষা ও সংস্কৃতিকে বোঝেন। এদিনের জনসভা থেকে একযোগে কংগ্রেস ও বিজেডিকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, পর্যাপ্ত জল, উর্বর জমি, খনিজ সম্পদে ভরা ওড়িশা দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্টি-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। তা সত্ত্বেও রাজ্যে অধিকাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন। এর প্রকৃত কারণ রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের সীমাহীন লোভ। প্রথমে কংগ্রেস, পরে বিজেডি নেতারা রাজ্যকে লুট করেছে। সোমবারের জনসভা থেক গত ১০ বছরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মোদি আক্রমণ শানান পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে। মনমোহন সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘সোনিয়া গান্ধীর রিমোট কন্ট্রোল সরকারের ১০ বছরে ওড়িশা সরকার পেয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু আমাদের সরকার ১০ বছরে বিজেডি সরকারের জন্য সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’ কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।