ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রচার করায় এর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর দাবি, সবকিছু আগাগোড়া জানা সত্ত্বেও হাসান আসনের জেডিএস প্রার্থী প্রোজ্জ্বলের হয়ে প্রচার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার আরও একধাপ সুর চড়িয়েছেন রাহুল গান্ধীও। তিনি সরাসরি ‘সেটিং তত্ত্ব’ সামনে এনেছেন। রাহুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীই রোভান্নাকে জার্মানি পালাতে সাহায্য করেছেন। জানিয়েছেন, এটা শুধু যৌন কেলেঙ্কারি নয়, গণ হারে ধর্ষণ! প্রোজ্জ্বল ৪০০ মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। এটা খুবই লজ্জার বিষয় যে, হাসন আসনে এমনই একজনের হয়ে প্রচার করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। রাহুলের অভিযোগ, বিজেপি একজন ধর্ষণে অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। আর এটাই মোদিজির গ্যারান্টি। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, কংগ্রেস রোভান্নাকে ছাড়বে না। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারতের ইতিহাসে এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী ‘ধর্ষকে’র হয়ে জনগণের কাছে ভোট চাননি। এই কাজ করে মোদিজি দেশের মহিলাদের অপমান করেছেন। তাই তাঁকে ক্ষমা চাইতেই হবে।
এরমধ্যে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন প্রোজ্জ্বলের প্রাক্তন গাড়িচালক। তিনি স্বীকার করেছিলেন, জেডিএস প্রার্থীর কুকীর্তি সংবলিত একটি পেনড্রাইভ বিজেপি নেতা দেবরাজ গৌড়ার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তারপর বিশেষ তদন্তকারী দল তাঁকে তলব করে। কিন্তু, প্রোজ্জ্বলের প্রাক্তন গাড়িচালকের খোঁজ মিলছে না। এব্যাপারে সরব হয়েছেন প্রোজ্জ্বলের কাকা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তাঁর অভিযোগ, গাড়িচালকের নিখোঁজ হওয়ার নেপথ্যে বেশ কিছু প্রভাবশালীর হাত থাকতে পারে। পাশাপাশি, গাড়ির চালককে কে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এদিন ঘুরিয়ে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী শিবকুমারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন কুমারস্বামী। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিবকুমার। এই আবহে প্রোজ্জ্বলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া।
এদিকে, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, জার্মানিতেই আছেন রোভান্না। আগামী ১৫ তারিখ জার্মানির মিউনিখ থেকে তিনি দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। পরদিন বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নামবেন।