উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এদিকে অযোধ্যার জামা মসজিদের শাহি ইমাম, ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটিজের চেয়ারম্যান সইদ ঘয়েরুল হাসান রিজভি থেকে শুরু করে এআইএমআইএম সুপ্রিমো লোকসভার এমপি আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বক্তব্যের মধ্যেও বিরোধ শোনা যাচ্ছে। শাহি ইমামের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সবারই মেনে নেওয়া উচিত। রিজভির মন্তব্য, কোনও রিভিউ পিটিশনের প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু সংসদ থেকে সড়ক মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব ওয়াইসি অযোধ্যা মামলার রায়ের সমালোচনা করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর দিল্লিতে ওয়েসির বাড়িতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে পার্সোনাল ল’ বোর্ড। যদিও সেখানে আসাদউদ্দিন ওয়েসি উপস্থিত ছিলেন না।
ল’ বোর্ডের পক্ষে জাফরইয়াব জিলানি বলেন, ‘আদালত যে রায় দিয়েছে, তার বেশ কিছু অংশ নিয়ে প্রশ্ন আছেই। কোনও নির্দিষ্ট মসজিদ কোথাও স্থানান্তর করা যায় না। তাই যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল, সেটি অন্যত্র পাঁচ একর হোক বা পঞ্চাশ একর, তা তৈরি করা যায় না। ফলে বিকল্প জমি দেওয়া হোক বা ৫০০ কোটি, কোনওটিরই কোনও মানে নেই।’ সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চও মানছে যে ওখানে বাবরি মসজিদ ছিল, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও মসজিদ তৈরির জন্য অন্যত্র বিকল্প জমি দেওয়ার কোনও মানে আছে কি? প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তাই রায়ের রিভিউ পিটিশন হবে কি না, তা সদস্যদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক হবে।
উল্লেখ্য, জিলানির মন্তব্য নিয়েই এদিন সকালে সামান্য টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। তিনি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী। তাই তাঁর মতকে সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার অন্যতম আবেদনকারী সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের বক্তব্য হিসেবেই ধরা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় বিতর্ক বাড়ায় ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সংগঠনের হয়ে মত স্পষ্ট করেন। জানিয়ে দেন, কোনও রিভিউ পিটিশন হবে না। জাফরইয়াব জিলানির মত ব্যক্তিগত। আমাদের সংগঠনের নয়।
জিলানিও পরে বলেন, ‘আমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডে আইনজীবী ঠিকই। তবে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সেক্রেটারি হিসেবে বক্তব্য রেখেছি। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হয়ে নয়।’ এখন দেখার, সুপ্রিম কোর্টে মামলার আবেদনকারী থেকে শুরু করে বেশিরভাগ মুসলিম সংগঠন যেখানে রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে, সেখানে সদস্যদের মধ্যে পর্যালোচনার পর কী সিদ্ধান্ত নেয় মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড।