উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এই ঘটনায় দক্ষিণ-মধ্য রেলের তরফে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও। পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করতে এবং আহতদের যথাযথ চিকিত্সার জন্য আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে, আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেল মন্ত্রক। গুরুতর ও স্বল্প আহতদের যথাক্রমে ২৫ ও ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
দক্ষিণ-মধ্য রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লিঙ্গমপল্লি-ফলকনামা মাল্টি-মডেল ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (এমএমটিএস) ও কুর্নুল-সেকেন্দ্রাবাদ হুন্দ্রি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস (১৭০২৮)-এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এমএমটিএসটি সিগন্যাল না মেনে এগিয়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পাশাপাশি, লোকাল ট্রেনের কেবিনে আটকে থাকা চালককে উদ্ধার করতে বেশ কয়েকঘণ্টা চেষ্টা চালায় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, দুমড়ে যাওয়া কেবিনের মধ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং জীবনদায়ী চিকিত্সাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, চালক ছাড়াও দুর্ঘটনায় ১২ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের ওসমানিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিত্সার পর দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় লোকাল ট্রেনের ছ’টি কামরা ও এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনার জেরে রেল পরিষেবা আংশিকভাবে ব্যাহত হয়। একটি ট্রেনকে বাতিল ও পাঁচটি ট্রেনকে আংশিক বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় লোকাল ট্রেনের মধ্যেই ছিলেন পদ্মাবতী নামে এক যাত্রী। ঘটনার বেশ কয়েকঘণ্টা পরও তাঁর চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। তিনি বলেন, কাচ্চিগুড়া স্টেশনে ঢোকার মুখেই জোর ঝাঁকুনি লাগে। অনেকেই হুমড়ি খেয়ে এদিক-ওদিক পড়ে যান। এর ফলে অনেক যাত্রী মাথা ও হাঁটুতে চোট পেয়েছেন।