সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
রাজ্য সরকারের ঠিক করা কোটা বজায় থাকলে প্রাথমিকভাবে ২৮৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে চাওয়া ইনসার্ভিস ডাক্তারদের সুরাহার পাশাপাশি ভবিষ্যতে গ্রামে গিয়ে অথবা সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে যে এমডি-এমএসে’র ১৩৯৮ টি আসন রয়েছে, তার মধ্যে রাজ্যের ভর্তির অধিকার ৫০ শতাংশ, অর্থাৎ ৬৯৯। বাকি অল ইন্ডিয়া কোটা।
রাজ্যের অধিকারের মধ্যে ওপেন সার্ভিসের ক্ষেত্রে ৪১৪ টি আসন রয়েছে। বাকি ২৮৫টি সংরক্ষিত। এমবিবিএস পাশ করে সরকারি কর্মরত ডাক্তারদের জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য এমডি-এমএস পড়ার সুযোগ পেতে কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রথমত, সরকারি হাসপাতালে ন্যূনতম তিন বছর চাকরি করতে হবে। এরপর এমডি-এমএস পড়ার আবেদন করে সুযোগ পেলে ন্যূনতম পাঁচ বছরের বন্ড দিতে হয়। অর্থাৎ সরকারি চাকরি ছাড়া চলবে না। এমডি-এমএস কোর্স হল তিন বছরের। কিন্তু এমডি-এমএস কোর্সে সরকারি ডাক্তারদের জন্য কোটা বাতিলের পাশাপাশি ইনসার্ভিসের জন্য বরাদ্দ আসনের নতুন করে কাউন্সেলিংয়ের দাবি তুলে হাইকোর্টে মামলা হয়। গত পয়লা অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কোটা বজায় রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি নতুন করে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরুর কথা বলে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আজ আদালতে রাজ্যের হয়ে সরকারের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করার পাশাপাশি গ্রাম সহ সরকারি হাসপাতালে বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক জোগানের কথা মাথায় রেখেই কোটা বজায় রাখার কথা বলেন আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদি ও রাজা চট্টোপাধ্যায়।
১৯৯০ সাল থেকে এই ব্যবস্থা চলে আসছে বলে উল্লেখও করেন তাঁরা। সরকারের বক্তব্যকে সমর্থন করে ইন-সার্ভিসের আবেদনকারী ডাক্তাদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী রঞ্জিতকুমার এবং কল্লোল বসু। বলেন, ইতিমধ্যে কোর্সের প্রথম সেমিস্টার হয়ে গিয়েছে। ফলে হাইকোর্টের রায় বজায় থাকলে সরকারি ডাক্তারদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তখনই বিচারপতির বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল সব ওপেন সার্ভিসের মহম্মদ নাজির হোসেন সহ ২৬ জন বিবাদীকে নোটিস ইস্যুর দেন। আগামী ১৪ তারিখ পরবর্তী শুনানি হবে।