সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
গত ২ নভেম্বর গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে তিস হাজারি আদালত চত্বরে পুলিস ও আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এদিন সেই আদালতেরই বার অ্যাসোসিয়েশনের সচিব আইনজীবী জয়বীর সিং চৌহান বলেন, ‘প্রত্যেকটি আদালতেই এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি রয়েছে। তবে, আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। আদালত চত্বরের নিরাপত্তায় আমরা দু’জন আইনজীবী এবং বার অ্যাসোসিয়েশনের দু’জন কর্মীকে মোতায়েন করেছি।’
তিস হাজারি আদালতে সংঘর্ষের ঠিক দু’দিন পর সাকেত আদালতের বাইরে কর্তব্যরত এক পুলিসকর্মী আইনজীবীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তারপর গত ৬ নভেম্বর থেকে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অজুহাতে সবক’টি জেলা আদালতের দরজা বন্ধ করে দেন আইনজীবীরা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মামলাকারী কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওইদিনই রোহিণী আদালতে প্রতিবাদী আইনজীবীদের একজন গায়ে কেরোসিন ঢেলে এবং অপরজন ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। তিস হাজারি আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস পি গর্গের হাতে। তাঁর সঙ্গে বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের এখনও পর্যন্ত কোনও বৈঠক হয়নি বলেই জানান জয়বীর। তিনি বলেন, ‘বিচারপতি এস পি গর্গ এখনও পর্যন্ত কোনও বার সদস্যকে বৈঠকের জন্য ডাকেননি। তবে, আমরা তদন্তে সবরকমভাবে সহযোগিতা করব।’
এদিকে, তিস হাজারি আদালত চত্বরে পুলিসের ধর্না-আন্দোলনের বিরোধিতা করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ফেব্রুয়ারিতে হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। যদিও, মামলাকারী আইনজীবীদের দাবি ছিল, শুনানি আরও এগিয়ে আনা হোক। কিন্তু, প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল এবং বিচারপতি সি হরিশঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার সাফ জানিয়ে বলে, ‘আমরা বিষয়টা পরে দেখব। ধৈর্য্য ধরে দেখতে থাকুন। মধ্যস্থতার জন্য আপনাদের সেরা অফিসারদের কাজে লাগান। আমাদের মনে হয়, এর জন্য একটু বেশি দিন দরকার।’