বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
মহারাষ্ট্রে আওরঙ্গাবাদের একটি কলেজে পড়তেন রিচার্ড। সেখানেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আওরঙ্গাবাদেই কেটেছে তাঁর। ওয়াংখেড়নগরে মুদি ব্যবসায়ী এস কে গাউলির সঙ্গে রিচার্ডের আলাপ হয় ওই সময়। দু’জনের মধ্যে ভালো সম্পর্কও তৈরি হয়। সেই সূত্রে গাউলির কাছ থেকে দু’শো টাকা ধার করেছিলেন তিনি। কলেজ জীবন শেষ করার পর নিজের দেশে ফিরে যান রিচার্ড। সেই টাকা আর ফেরত দেওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর।
দেশে ফিরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন রিচার্ড। হয়েছেন সেদেশের এমপিও। কেনিয়ার নাইরিবারি চেচে কেন্দ্র থেকে পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ৩০ বছর পরেও গাউলির কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা ভুলতে পারেননি রিচার্ড। সোমবার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সোজা আওরাঙ্গাবাদে গাউলির বাড়িতে চলে আসেন তিনি। পরিশোধ করেন ধার নেওয়া দু’শো টাকা।
গাউলি এখন বৃদ্ধ। সকালে বাড়ির সামনে রিচার্ডকে দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। তিনি বুধবার বলছিলেন, ‘ওকে (রিচার্ড) যখন দেখি তখন আমার দু’চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তার পর পরিচয় দিতেই মনে পড়ল সেই কলেজছাত্র রিচার্ডের মুখটা।’ টাকাটা কোনও বড় কথা নয়। মানুষের মধ্যে নিবিড় ভালোবাসার সম্পর্কের এই টানই আমাকে মুগ্ধ করেছে।’ রিচার্ডের কথায়, ‘আমার অসময়ে গাউলি আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, জীবনে যত বড়ই হই না কেন ওই টাকাটা আমি ফেরাব। সেটা আজ করতে পেরে আমি খুশি। তাই আওরঙ্গাবাদ সফর আমার কাছে আবেগ ও ভালোবাসার। পুরনো দিনের সেই কলেজ জীবনের কথা বেশ মনে পড়ছে।
বেশ কয়েকদিন ঐতিহাসিক শহর আওরঙ্গাবাদ ঘুরে দেখেছেন রিচার্ড। ছিলেন একটি অভিজাত হোটেলে। তবে আওরঙ্গাবাদ ছাড়ার আগে গাউলির আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারেননি এই কেনিয়ান এমপি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গাউলির বাড়িতে খাওয়া-দাওয়াও করেন তিনি। রিচার্ড বলেছেন, ‘উনি আমাকে বাড়ি থেকে রান্না করে এনে হোটেলে খাওয়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি বলেছিলাম, আপনার বাড়িতে গিয়েই খাওয়া-দাওয়া করব।’