বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্তের দাবি, কোনও জোর জবরদস্তি হয়নি। এই ১০ বিধায়ক স্বেচ্ছায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। নিজের নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ও রাজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে। গোয়ার বিজেপি সরকারের প্রতি তাঁরা নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছেন। ঘটনাচক্রে বিধানসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও গোয়ায় সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস। তড়িঘড়ি জোট গড়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। ১০ কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দেওয়ায় ৪০ সদস্যের গোয়া বিধানসভায় বিজেপির শক্তি বেড়ে হল ২৭। রিপোর্ট অনুযায়ী, কংগ্রেস-ত্যাগী ওই ১০ বিধায়কের মধ্যে তিনজনকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে। শুক্রবার মন্ত্রিপদে শপথ নেবেন তাঁরা। ফলে শরিক দলের মন্ত্রীরা বাদ পড়তে পারেন বলে জল্পনা তুঙ্গে। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত সকালে বলেন, ১০ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে দলের সভাপতি অমিত শাহ ও কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি এসেছি। নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে কিছু বলতে পারব না। শরিক দলের মন্ত্রীরা বাদ পড়বেন কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস পরিষদীয় দলের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যই বিজেপির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রযোজ্য নয়। বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই ১০ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে রয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকর। গতকাল সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এই ১০ বিধায়কের বিজেপিতে মিশে যাওয়ার চিঠি তুলে দেওয়া হয় বিধানসভার স্পিকার রাজেশ পাটনেকরের হাতে। পরে চিঠি গ্রহণ করার কথা জানান স্পিকার। বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও এই দলবদলের ফলে গোয়ার কংগ্রেসের শক্তি কমে হল মাত্র পাঁচ। দলবদলের এই ধাক্কার পর বিজেপির কড়া সমালোচনা শুরু করেছে কংগ্রেস। গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরিশ চোড়াঙ্করের অভিযোগ, বিজেপি ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতি এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার এই নগ্ন খেলা মানুষ দেখছে। যারা গণতন্ত্রকে হত্যার এই চূড়ান্ত লজ্জাজনক কাজ করছে, মানুষ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে। এক দেশ, এক ভোট নয়, তারা চেষ্টা করছে এক দেশ, এক পার্টির। ঈশ্বর এই দেশকে বাঁচান।
শুধু কংগ্রেস নয়, গোয়ায় এই গণ-দলবদল নিয়ে সরব হয়েছেন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্করের ছেলে উৎপলও। বুধবার তিনি বলেন, বাবার মৃত্যুর পর গোয়ায় বিজেপি সম্পূর্ণ ভিন্ন এক দিশা নিয়েছে। উল্লেখ্য, পারিক্করের মৃত্যুর পর তাঁর বিধানসভা আসনে উৎপলকে বিজেপি প্রার্থী করবে বলে মনে করা হয়েছিল। যদিও প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর ছেলেকে দল টিকিট দেয়নি। ওই আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী আটানাসিও মনসেরাতে। জার্সি বদলে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ১০ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে মনসেরাতেও রয়েছেন।
গোয়ার এই নতুন সমীকরণের পর সবচেয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শরিক দলের মন্ত্রীদের সরিয়ে জায়গা করে দেওয়া হতে পারে দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়কদের। যদিও এই ইস্যুতে সতর্ক হয়ে এগতে চাইছে বিজেপি শরিক গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি (জিএফপি)। এই শরিক দলের তরফে বলা হল, সময় খারাপ হোক বা ভালো, সব সময় তারা সরকারের পাশে রয়েছে।