বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
প্রসঙ্গত বাজেট পেশ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক পরিষদের অন্যতম সদস্য রথীন রায় সহ আরও একঝাঁক অর্থনীতিবিদ প্রশ্ন তোলেন অর্থনৈতিক সমীক্ষা এবং বাজেটের মধ্যে মোট আয়ের হিসেবে গরমিল আছে। ১ লক্ষ ৭৯ হাজার কোটি টাকার ফারাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষার পরদিনই বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাহলে কেন একই সরকারের দুটি পরিসংখ্যান? এই নিয়ে বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। আজ তাই বাজেট আলোচনার পর জবাবি ভাষণে সিংহভাগ সময় অর্থমন্ত্রী ব্যয় করেন সেই জল্পনায় জল ঢালতে। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে আজ এই সংসদে দাঁড়িয়ে বলছি বাজেটে উল্লেখ করা প্রতিটি তথ্য ও পরিসংখ্যান সঠিক। তাই কোনওভাবেই বৈসাদৃশ্য হয়েছে বলা যাবে না। অন্তর্বর্তী বাজেটে যে নিম্নতম জিডিপিকেই ভিত্তি ধরা হয়েছিল এবারও সেই জিডিপিকেই ভিত্তি ধার্য করা হয়েছে। তাই হয়তো বুঝতে সমস্যা হয়েছে। নির্মলা সীতারামনের জবাবি ভাষণের সময় আজ বিরোধীদের সঙ্গে তাঁর প্রবল উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডা হয়। একটা সময় তিনি বলেন, শিক্ষকরা যেভাবে ক্লাস ছাত্রদের ক্লাস নেয় সেভাবেই আমি বোঝানোর চেষ্টা করলাম। আশা করি সদস্যরা আর বলবেন না যে তাঁরা বুঝতে পারেননি। তা সত্ত্বেও যদি কোনও প্রশ্ন থাকে তাহলে আমার চেম্বারে এলে আরও স্পষ্ট করে বোঝানোর চেষ্টা করব।
এই মন্তব্যে বিরোধীরা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, এনসিপি সকলেই প্রবল হইচই শুরু করে বলেন, অর্থমন্ত্রী এভাবে সংসদে এমপিদের অপমান করছেন। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, অর্থমন্ত্রী যদি ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন তাহলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। আমাদের অধিকার আছে এই সংক্রান্ত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়ার। বিরোধীদের শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। অর্থমন্ত্রীর ভাষণের মধ্যেই ওয়াক আউট করেন বিরোধীরা।
এদিকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে একদিকে যেমন বিরোধীদের আজ তুমুল বাদানুবাদ হয়েছে তেমনই সঙ্ঘাত সৃষ্টি হয়েছে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। এই প্রথম সরকারি কোনও ভবনে সরকারি প্রেস কার্ড থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রক যে বিল্ডিং এ অবস্থিত সেই ঐতিহ্যবাহী নর্থ ব্লকে অফিসার অথবা মন্ত্রীদের সঙ্গে একমাত্র আগাম অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া কোনও সাংবাদিক ঢুকতে পারবে না বলে সার্কুলার জারি হয়েছে। যা নিয়ে তুমুল ক্ষুব্ধ হয়েছে সংবাদমাধ্যম। বিষয়টি গড়িয়েছে প্রেস কাউন্সিলেও। সরকার থেকে যে অ্যাক্রিটেডিটেশন কার্ড সাংবাদিকের ইস্যু করা হয় সেটি দেখিয়ে সরকারি দপ্তরে প্রবেশাধিকার রয়েছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রক এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর যখন তখন প্রবেশ করা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল চাপানউতোর শুরু হয়েছে।