বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার ভিডিও প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, এই ধরনের হুমকি আমরা শুনি না। আমার মনে হয় না বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন আছে। অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমাদের সেনা সক্ষম। মোদি সরকারের দ্বিতীয় দফায় উপত্যকা জুড়ে ব্যাপক ধরপাকড় এবং আর্থিক মদতদাতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের জেরে কোণঠাসা জঙ্গি সংগঠনগুলি। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গিদের মনোবল বাড়াতে জাওয়াহিরির বার্তা প্রকাশ্যে আসে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পরনে সাদা পোশাক, ডান দিকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বাঁদিকে কোরান নিয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করে জাওয়াহিরি। আল কায়েদা প্রধান বলে, এই মুহূর্তে কাশ্মীরের মুজাহিদিনদের ভারতীয় সেনা এবং সরকারের বিরুদ্ধে আপসহীন হামলার পথে যাওয়া উচিত। ভারতীয় অর্থনীতিতে ধস নামানোর পাশাপাশি সরঞ্জাম এবং লোকবলকে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে হবে।
কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় স্ক্রিনে জাকির মুসার ছবি ফুটে উঠলেও একবারও তার নাম করেনি জাওয়াহিরি। আল কায়েদার ভারতীয় শাখা ‘আনসার ঘাজওয়াত-উল-হিন্দ’ নামে জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেছিল মুসা। গত মে মাসে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে খতম হয় সে। মুসার নাম না করলেও পাকিস্তানের উদ্দেশে ‘হুমকি বার্তা’ শুনিয়েছে আল কায়েদা নেতা। তার বক্তব্য, পাকিস্তানের সেনা এবং সরকার বর্তমানে আমেরিকার হাতের পুতুল। কোনও জঙ্গি যেন পাকিস্তানের ফাঁদে পা না দেয়। কারণ, আঞ্চলিক রাজনীতির জন্য মুজাহিদিনদের বারবার ব্যবহার করেছে ইসলামাবাদ। কাজ ফুরলে নির্যাতন করে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সংঘাতে ধর্মের স্থান নেই। মার্কিন গোয়েন্দারা আড়াল থেকে সীমান্ত সমস্যায় কলকাঠি নাড়ছে।