বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এদিকে, কর্ণাটক ইস্যুতে তৃণমূলকে পাশে পেয়ে কংগ্রেস যেমন খুশি, একইভাবে গত দু’দিন কর্ণাটক ইস্যুতে লোকসভায় নিশ্চুপ থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের কথা মাথায় রেখে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বিরোধী জোটে শামিল হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সংঘর্ষ সহ এনআরএস কাণ্ডের ফলে রাজ্যকে তিনটি ‘অ্যাসডভাইসরি’ পাঠিয়েছিল অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যা মোটেই ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল। নির্বাচিত সরকারকে কৌশলে অস্থির করার উদ্দেশ্যেই মোদি সরকারের ওটি প্রাথমিক প্রয়াস বলেই টিএমসির দাবি। তারই প্রতিবাদে শামিল হতেই এদিন সোনিয়ার প্রস্তাবে সাড়া দেন টিএমসি এমপিরা। তবে তাঁরা ওয়েলে নামেননি। নিজের আসনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি ওয়াক আউট করেন।
কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএসের সরকারের অবস্থা টলমল। তবে এই অবস্থার জন্য দায়ী বিজেপি। এমনই অভিযোগ করে তিনদিন ধরে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিচ্ছে কংগ্রেস। কিন্তু স্পিকার তা গ্রাহ্য করেননি। তাই গতকাল বিক্ষোভ, ওয়াক আউটের পরও আজ ফের একই ইস্যু তোলা হবে ঠিক করেন সোনিয়া। সকালেই দলকে তিনি বলেন, কেবল কর্ণাটক নয়। এরপর ওরা মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানেও একই চেষ্টা করতে পারে। তাই এই ইস্যুতে বিজেপিকে সংসদে জেরবার করতে হবে। বাড়াতে হবে বিরোধীদের সমর্থনও। সেই মতো ডিএমকে, এনসিপি, এনসি, কেরলের আরএসপির মতো ইউপিএ’র দলগুলির পাশাপাশি এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছেও আবেদন করেন কংগ্রেসের মুখ্যসচেতক কে সুরেশ। কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরির সঙ্গে তৃণমূলের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্কের কথা জেনেই সুরেশকে মাঠে নামান সোনিয়া। এবং তা কাজেও দেয়।
কেবল নেপথ্যের কৌশলই নয়। এদিন লোকসভায় অধীরবাবু কর্ণাটকের ইস্যুটি তোলার সময়, দলের এমপিদের ওয়েলে নেমে প্রতিবাদের প্রতিটি মুহূর্তে নিজের আসনে বসে বিষয়টি পরিচালনা করেন সোনিয়া গান্ধী। কেন কংগ্রেস বক্তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হবে? কেনই বা বিষয়টি ঠিক মতো তুলতে দেওয়া হবে না? তা নিয়ে আসনে বসেই প্রতিবাদে সরব তিনি। আর সোনিয়া সক্রিয় হতেই গোটা বিরোধী বেঞ্চ বাড়তি উৎসাহে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে সরকারের পক্ষে সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেও সম্মিলিত বিরোধীদের বিক্ষোভ প্রতিবাদে উত্তাল হয় লোকসভা। প্রায় একই অবস্থা হয় রাজ্যসভাতেও।