বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
সংগঠনের অভাব রয়েছে। এবং সেই কারণে এবারের লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে ৭১টির বেশি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি সিপিএম। এগুলির মধ্যে একমাত্র কেরল ছাড়া অন্য কোনও রাজ্য নিয়ে সেভাবে আশাবাদীও নন সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতারা। ত্রিপুরার দুটো লোকসভা আসনই এবার তাঁদের হাতছাড়া হবে বলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দলের নেতৃত্ব। একই পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গেও। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার যে দু’টি আসনে জয় পেয়েছিল সিপিএম, সেই রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদই তাঁরা এবার ধরে রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দলের নেতাদের একাংশই রীতিমতো সন্দিহান। ফলে জেতা দু’টি আসনই ধরে রাখতে না পারলে পশ্চিমবঙ্গের আর অন্য কোনও লোকসভা কেন্দ্রে আদৌ জয়লাভ সম্ভব কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে সিপিএমের অন্দরে। যদিও ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সিপিএমের অভিযোগ, দুই রাজ্যের সংশ্লিষ্ট শাসক দল, অর্থাৎ বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মাত্রাতিরিক্ত সন্ত্রাসের কারণেই সিপিএম পিছিয়ে পড়ছে। লাগাতার হামলা, সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে সিপিএম তথা বাম নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের উপর। ঘটনার কথা জানিয়ে একাধিকবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াদিল্লির এ কে গোপালন ভবনের অন্দরের খবর, অভিযোগ যাই থাকুক না কেন, আদতে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে সিপিএমের সাংগঠনিক শক্তিই। অর্থাৎ সারা দেশে মোট দলীয় সংসদ সদস্যর সংখ্যা। প্রধানত যা স্থির করে দেবে জাতীয় রাজনীতিতে সিপিএমের অবস্থান কী হবে? রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এমনিতেই বরাবর মোদি বিরোধী প্রস্তাবিত মহাজোটের বিপক্ষেই সওয়াল করেছে সিপিএম। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি প্রকাশ্যেই যুক্তি দিয়েছেন, ভোটের আগে মহাজোট কখনওই ফলপ্রসূ হয়নি। নির্বাচনের পর অবস্থা বুঝে এই ইস্যুতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু ২৩ মে ফলাফলের পর জাতীয় রাজনীতিতে যদি গুরুত্বই হারিয়ে ফেলে সিপিএম, তাহলে আর মহাজোটে দরকষাকষির জায়গাতেই থাকবেন না ইয়েচুরি-কারাতরা। তাই জাতীয় রাজনীতিতে দলের অবস্থান ঠিক করতে ফলাফল ঘোষণার পর দু’দিনব্যাপী ওই পলিটব্যুরো বৈঠকে নিজেদের বাস্তব পরিস্থিতির তুল্যমূল্য বিশ্লেষণ করতে চাইছেন সিপিএমের শীর্ষ নেতারা।