বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিন খুশিনগর ও দেওরিয়ায় জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। দুই সভা থেকেই বিরোধী শিবিরের মুণ্ডপাত করেন তিনি। নিশানা বানান উত্তরপ্রদেশের মহাজোট ও কংগ্রেসকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকালে খবর পেলাম কাশ্মীরে জঙ্গিরা মারা পড়েছে। এখন কিছু লোকজন বলছে, ভোট চলার মধ্যে মোদি কেন জঙ্গিদের খতম করছে? ওরা (জঙ্গিদের প্রসঙ্গে) যখন বন্দুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, আমার জওয়ান কি নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে যাবে জঙ্গিদের গুলি চালাব কি না জানার জন্য? আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দু’তিন দিন অন্তর জঙ্গিরা খতম হয়েছে। আমার কাজ হল এই ‘সাফাই অভিযান’ চালানো। উত্তরপ্রদেশের জনসভা থেকে মোদির দাবি, এবারের ভোটে বিরোধীরা মুখ থুবড়ে পড়বে। কারণ মানুষ কার্যকর ও সৎ সরকার গড়ার জন্য ভোট দিচ্ছে। অখিলেশ ও মায়াবতীর এসপি-বিএসপি জোটকে এদিন তীব্র সমালোচনা করেন মোদি। তাঁর কটাক্ষ, ‘বুয়া’ ও ‘বাবুয়া’ সম্মিলিতভাবে যতদিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তার থেকে বেশি দিন আমি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। তা সত্ত্বেও আমার গায়ে দুর্নীতির ছাপ লাগেনি। জাতপাত প্রসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব শ্রেণীর নেতাদের বলতে চাই, আমার একমাত্র পরিচয় আমি গরিব শ্রেণীর মানুষ। আমি গরিবি দেখেছি। গরিবির যন্ত্রণা ভুগেছি ও তা থেকে বেরিয়ে এসেছি। এবং গরিব মানুষের আশীর্বাদে দেশকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।
রাজস্থানের আলোয়ারে দলিত মহিলার গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ক’দিন আগেই সেখানে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন মায়াবতী। যদিও এই ইস্যুতে বিএসপি সুপ্রিমো বাস্তবে কুম্ভিরাশ্রু ফেলছেন বলে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। বহেনজির উদ্দেশে মোদি বলেন, আপনি কেন রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছেন না? কুমিরের কান্নার মতো শুধুমাত্র বিবৃতি দিচ্ছেন। দলিত মহিলার উপর নির্যাতনের ঘটনা রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারও চেপে যেতে চাইছে। শিখ বিরোধী দাঙ্গা প্রসঙ্গে স্যাম পিত্রোদার মন্তব্য টেনে এনে প্রধানমন্ত্রীর তোপ, কংগ্রেস মনে করছে এই ঘটনা হয়েছে তো হয়েছে (হুয়া তো হুয়া)। ‘মহাভেজাল’ এসপি-বিএসপি-কংগ্রেস রাজস্থানে কী কাজ করছে, এটা তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।