বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
ভারতের এই জবাব ফের সার্জিকাল স্ট্রাইক নাকি সরাসরি সীমান্ত পেরিয়ে আক্রমণ? তা নিয়ে সরকার উচ্চবাচ্য করেনি। তবে কেন্দ্রের অতি সক্রিয়তা, দিনভর নর্থ ব্লক থেকে সাউথ ব্লকে একের পর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, বিকেলে তিন সামরিক প্রধানকে ডেকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং আগামীকালই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা বাড়ছে। এসব যুদ্ধকালীন তৎপরতার পিছনে আসলে কোন সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করে আছে, তার খোঁজ চলছে। এসবের মধ্যেই আচমকা দুপুর থেকে জম্মুর পাকিস্তান সীমান্তে ভারত ও পাক সেনার গুলিবিনিময়ে আরও উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকের পরই মোদি দিল্লি থেকে ঝাঁসি, একের পর এক সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে সবথেকে বেশি জোর দিয়েছেন একটি ঘোষণায়, ‘জঙ্গিরা অচিরেই বুঝতে পারবে তারা কত বড় ভুল করল।’ গতকাল কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলা যে উরির থেকেও ভয়ঙ্কর তা নিয়ে যেমন সংশয় নেই, তেমনই ঠিক লোকসভা ভোটের আগে এই ঘটনায় সরকার কতটা সক্রিয়তা দেখাতে উদগ্রীব তার প্রমাণ আজ মিলেছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে অর্থমন্ত্রী সকলেই দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ধৈর্য ধরুন, প্রতিশোধ, বদলা হবেই।
উরির পর কিন্তু এতটা আগ্রাসীভাবে কেন্দ্র আগাম আক্রমণের হুঙ্কার দেয়নি। মোদি সরাসরি পাকিস্তানকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ যদি মনে করে এভাবে কাপুরুষের মতো আক্রমণ করে ভারতের অন্দরে অস্থিরতা তৈরি করা যাবে, তাহলে তাদের বলছি স্বপ্ন দেখবেন না। আজ মোদি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, শুধু জঙ্গিদের নয়, তাদের যারা সমর্থন করছে তারাও যেন তৈরি থাকে মুখের মতো জবাব পাওয়ার জন্য। আমাদের সেনাবাহিনী, আধাসেনার উপর গোটা দেশের ভরসা আছে। তারাই জবাব দেবে। মোদি বলেছেন, আমাদের সমালোচনাও করা হচ্ছে। যাঁরা করছেন তাঁদের ক্রোধের কথা আমি বুঝতে পারছি। তবু বলব এখন গোটা দেশের একজোট থাকা দরকার। মোদির এই আহ্বানে অবশ্য তৎক্ষণাৎ সাড়া দিয়েছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী আজ বলেছেন, এখন একটাই বার্তা। আমরা সরকারের পাশে। গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ।
তবে কেন্দ্রের উপর প্রবল অভ্যন্তরীণ চাপ তৈরি হয়েছে পাল্টা জবাব দেওয়ার। আজ জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে, ভারত ঠিক কেমন জবাব দিতে চলেছে পাকিস্তানকে? পারদ ক্রমেই চড়তে থাকার কারণ, শুধু ভারতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ভারতের বিদেশ সচিবের অসন্তোষ প্রকাশই নয়, চীনের রাষ্ট্রদূতকেও ভারত সমন করেছে আজ। লক্ষ্য, মাসুদ আজহার। অন্যদিকে সুষমা স্বরাজ আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে একজোট করার চেষ্টা করছেন। আর এসবের অলক্ষ্যে সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডকে হাই অ্যালার্টে রেখে এবং আইবি, র (raw) ও মিলিটারি ইনটেলিজেন্সের তিন শীর্ষকর্তাকে নিয়ে রাত পর্যন্ত মিটিং করে অজিত দোভাল তৈরি করছেন ব্লু প্রিন্ট। এবার মিশন পাকিস্তান?