বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
আজ দিল্লির প্রেস ক্লাবে এক প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, মোদির বিরুদ্ধে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মুখ কে, এসব নিয়ে আমরা মোটেই চিন্তিত নই। আমাদের একমাত্র টার্গেট মোদি বিদায়। সেই লড়াইয়ে মোদির বিরুদ্ধে মুখ আম জনতা। তারাই এবার মোদিকে হটাবে। মোদি হটাতে জাতীয়স্তরে মহাজোটের সিদ্ধান্ত হলেও রাজ্যে রাজ্যে যে যেখানে শক্তিশালী সেখানে সেই রাজনৈতিক দলকেই অন্যদের সহযোগিতা করা উচিত মন্তব্য করে তৃণমূলনেত্রী স্পষ্ট করে দেন, বাংলায় তৃণমূলই শক্তিশালী। ওখানে কংগ্রেস, সিপিএম তো আমার বিরুদ্ধে। তবে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায় যে যাই করুক, জাতীয় স্তরে মোদির বিরুদ্ধেই আমরা লড়ছি। সারা দেশের সাংবাদিকদের সামনে কার্যত শিলমোহর দেওয়ার ঢঙে তৃণমূলনেত্রী বলেন, লিখে নিন। কোনওভাবেই আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদি। এক্সপায়ারি ডেট ওভার হয়ে গেছে। তারিখ ফুরিয়ে যাওয়ার পর কেউ কি কোনও ওষুখ খায়? মোদি-অমিত শাহর ক্ষেত্রেও তাই।
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মমতা বলেন, ক্ষমতা থাকলে বাংলায় একটি আসনেও জিতে দেখাক বিজেপি। মোদি-অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী হলে জিততে পারবেন না। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, মোদি-অমিত শাহর মিথ্যে ধরা পড়ে গেছে। চার পাঁচজন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, খোদ প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রের এক ডজন মন্ত্রী বাংলায় গিয়ে সভা করে এসেছেন। অমিত শাহ সোয়াইন ফ্লু গায়ে সভা করেছেন। আর মিডিয়ায় বলছে, আমরা সভা করতে দিচ্ছি না। বাধা দিচ্ছি। বিজেপির আমাকে এত ভয় কীসের?
গতকালই লোকসভায় পাশ হয়েছে চিটফান্ড বিল। ওদিকে বাংলায় জোরদার হয়েছে চিটফান্ড তদন্তের গতি। এমনকী কলকাতার পুলিস কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানা দিতে গিয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে চিটফান্ড চলছে। কেউ এতদিন কিছু করেনি। আমরা ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে আইন এনেছি। মূল অভিযুক্তকে ধরেছি। মমতা বলেন, অসমে চিটফান্ড কাণ্ডে তো বিজেপির অনেকের নাম ছিল। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি? হয়নি। কেন হয়নি? তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলার আগে ওরা নিজেদের দিকে দেখুক। অভিযুক্তদের মধ্যে যারাই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে, তারাই বেঁচে যাচ্ছে। তা কেন হবে?
প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া ছাড়াও এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে যান। যদিও ওই সাক্ষাতের উদ্দেশ্য কোনও রাজনৈতিক নয় বলেই উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ। আগামীকাল কলকাতায় ফিরছেন মমতা।