উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০-১১ সালে রাজ্যে ভুট্টা উৎপাদন হতো ৩ লক্ষ ৫২ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন। আগে চাষিরা প্রতি কেজি ভুট্টা ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করতেন। বর্তমানে তাঁরা বিক্রি করছেন কেজি প্রতি ২২ টাকায়। মূলত, পোলট্রি, ফিশারিজ-এ ভুট্টার খুব চাহিদা রয়েছে। পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কৃষি দপ্তরকে জানানো হয়েছিল, মুরগির খাবার হিসেবে রাজ্যে তাদের ৩৯ লক্ষ ভুট্টার প্রয়োজন। ফলে আরও বেশি পরিমাণে ভুট্টাচাষ হলে তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না।
সে কারণেই চাষিদের মধ্যে এই চাষ সম্পর্কে ধারণা বাড়াতেই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ওই কর্মশালায় বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৃষি আধকিারিক ও কৃষকরা উপস্থিত থাকবেন। বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা বেশি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষি আধিকারিকদের কর্মশালায় আসতে বারণ করা হয়েছে। এই কর্মশালায় কৃষকরা তাঁদের কথা বলার সুযোগ পাবেন। এ মাস থেকেই ভুট্টার চাষ শুরু করতে হয়।
এ ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভুট্টা চাষ করতে জল কম লাগে। আমাদের রাজ্যে ভুট্টা চাষ অনেকটাই বেড়েছে। ভুট্টার চাহিদা আছে। ভুট্টা শুধু পোলট্রিতেই লাগে না, তা থেকে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। গত বছর ভুট্টা চাষে পোকার সংক্রমণ হয়েছিল। এবার সতর্কতার জন্য সেই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। ধান চাষের পরেই ভুট্টা চাষে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এই কর্মশালার আয়োজন। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন, যার মধ্যে এক কুইন্টাল ভুট্টা ছাড়াতে বিদ্যুৎ খরচ হয় মাত্র আট টাকা। সব দিক বিচার করেই ভুট্টা চাষে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বিকল্প চাষের উপর জোর দিয়েছেন। আমরা বিকল্প চাষ হিসেবে ভুট্টা চাষ করতে কৃষকদের আহ্বান জানাচ্ছি।