কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির উত্থানে যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল। বিরোধী হিসেবে বিজেপি যেমন এগিয়ে গিয়েছে, তেমনই কংগ্রেস ও বাম দলগুলির ক্ষয় ক্রমে বেড়ে চলেছে। বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন। ফলে রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। এই পটভূমিতে, বেশ কয়েক বছর স্থগিত থাকার পর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে চলেছে। সাধারণ নির্বাচনে সাফল্যের প্রেক্ষিতে এবার সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র শাখা তেড়েফুঁড়ে নেমেছে। সম্প্রতি, রাজ্যের নানা প্রান্তে কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে গোলমালে টিএমসিপির সঙ্গে মুখোমুখি এভিবিপির সংঘর্ষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিরোধী রাজনীতির পরিসরে বাম ও কংগ্রেসকে বহু পিছনে ফেলে বিজেপির প্রাধান্য বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও তার আঁচ পড়ছে। বাংলার কলেজগুলিতে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য নিরঙ্কুশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়ে ছাত্র সংসদ কব্জায় রেখেছিল তৃণমূল।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু জানান, স্থগিত থাকা নির্বাচন ফের চালু করতে চলেছেন তাঁরা। তবে নতুন নিয়ম অনুসারে এক বছরের বদলে দু’বছর অন্তর এই ছাত্র সংসদ ভোট হবে। ভোটপর্ব যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেই উদ্দেশ্যেই সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান শিক্ষামন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত দিনক্ষণ স্থির না হলেও প্রস্তাবিত বৈঠকে এভিবিপি বাদে সব দলের ছাত্র সংগঠনকে তিনি ডাকবেন। আগামী ২৮ আগস্ট টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। বরাবরের মতো এবারেও গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ছাত্র জমায়েতে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির থাকবেন। এদিন পার্থবাবু বলেন, টিএমসিপির সভায় বেশি বেশি করে ছাত্রদের আনতে হবে, এমনই নির্দেশ ছাত্র নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।