কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
১৯৯১ সালে রীতা দত্তর সঙ্গে আশিস বাগের বিয়ে হয় আরামবাগে। ১৯৯৬ সালে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। প্রায় ১০০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে দু’জন ডাক্তার ও তিনজন নার্সের উপস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তিনি বলেছিলেন, রাগের মাথায় তিনি নিজেই গায়ে আগুন দিয়েছেন। কিন্তু, পুলিসের বয়ানে বলা হয়, হাত-পা বেঁধে রীতাদেবীর শরীরে আগুন লাগানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণে ২৮ জনকে সাক্ষী করা হয়। কিন্তু, সেই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে কীভাবে অনিয়ম হয়েছে, তা হাইকোর্টে তুলে ধরেন আইনজীবী তন্ময় চৌধুরী ও সোমশুভ্রা গঙ্গোপাধ্যায়।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু, নিম্ন আদালত প্রথম অভিযোগটি বাতিল করে দেয়। অন্যদিকে, যে ২৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল, তাঁদের প্রথম আটজনকে অভিযুক্ত পক্ষ জেরা করার সুযোগ পায়। কিন্তু, বাকি সাক্ষীদের জেরার সুযোগ দেওয়া হয়নি ওই পক্ষকে। আইনি ক্ষেত্রে নানাভাবে অসহযোগিতা করা হয়েছে। আরামবাগের আদালত তা মেনেও নিয়েছে। অথচ, মৃত্যুর আগে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ যে বয়ান দিয়েছিলেন, তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনেনি নিম্ন আদালত। এমনকী যাঁদের সামনে তিনি বয়ান দিয়েছিলেন, তাঁদের সাক্ষী হিসেবে তোলাই হয়নি আদালতে। তৃতীয়ত, দম্পতির শিশু সন্তানকে শিখিয়ে পড়িয়ে সাক্ষ্য দেওয়ানো হয়নি, তা হলফ করে কেউ বলতে পারবে না। অথচ, তার বয়ানকেই নিম্ন আদালত গুরুত্ব দিয়ে ২০০১ সালে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। যা রদ হওয়া উচিত।