কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
আইটিআই কলেজের শিক্ষকরা বলেন, অধ্যক্ষা নিজের মন মতো কলেজ চালান। নিজে কোনও ক্লাস নেন না। অথচ তাঁর ট্রেডে তিনিই একমাত্র শিক্ষিকা। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রেডের ছাত্রছাত্রীরা প্রায়ই অভিযোগ করে। মাসের মধ্যে দু’একদিন কলেজে আসেন। বেশিরভাগ দিন বাইরে থেকে ফোন করে হুইপ জারি করে আমাদের দিয়ে তাঁর কাজ করান। অধ্যক্ষার জন্য ছাত্রদের বিক্ষোভ আমাদের কয়েকদিন ধরে সামলাতে হচ্ছিল। আইটিআই কলেজের আন্দোলনরত ছাত্রদের পক্ষে তরুণ সরকার বলেন, আমাদের কলেজে এই অধ্যক্ষা আসার পর থেকে পড়াশুনা লাটে উঠেছে। তিনি কলেজে মাসে এক দু’বার আসেন। কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের অন্যায় ভাবে পোশাক ও বই কেনার জন্য বাধ্য করছেন। এজন্য পোশাকের জন্য ১৫০০ এবং বইয়ের জন্য ১০০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। বই ও পোশাকের টাকা না দিলে ভর্তির স্লিপ আটকে রাখছেন। কলেজের অনুষ্ঠান, আই কার্ডের জন্য টাকা নিলেও তার কোনও রসিদ দিচ্ছেন না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি।
হরিরামপুর আইটিআই কলেজের অধ্যক্ষা মণিকুন্তলা দাস বলেন, গোয়ালপুকুর আইটিআই কলেজে ড্রেস তৈরির ব্যবস্থা থাকায় ইচ্ছুক পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। তা নিয়ম মেনেই নেওয়া হয়েছে। যদি কোনও ছাত্র ছাত্রীর আপত্তি থাকে তবে টাকা ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। কলেজে সকল ছাত্রছাত্রীকে ভর্তির রসিদ দেওয়া হয়েছে। কলেজের কিছু সমস্যা রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। হরিরামপুরের বিডিও শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাকে কলেজের অধ্যক্ষা ফোন করে জানান কলেজে ছাত্র বিক্ষোভ চলছে। আমি কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান কোনও কারণ ছাড়াই বিক্ষোভ হচ্ছে । আমি আমাদের জয়েন্ট বিডিওকে কলেজে পাঠাই, সঙ্গে পুলিসও ছিল। আমাকে যুগ্ম বিডিও ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন তিনি অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছেন। আমাকে তিনি রিপোর্টও করেছেন। আমি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখন থেকে ছাত্র ও শিক্ষকদের স্বার্থে ওই কলেজে নিয়মিত তদারকি করা হবে।
হরিরামপুর আইটিআই কলেজে দীর্ঘদিন ধরেই অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। তাঁর ব্যবহারে কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারাও অসন্তুষ্ট। ছাত্রদের অভিযোগ, অধ্যক্ষা নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে গরিব ছাত্রছাত্রীদের পোশাক ও বই বাবদ ২৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন। এতে অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। তাই পড়ুয়ারা এদিন অধ্যক্ষার পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ছাত্রদের দাবি, পোশাক ও বই কেনা নিয়ে কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের কোনও নির্দেশ নেই।