কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এদিনের কর্মশালায় জেলাশাসক বলেন, আমরা সবসময়ই পঞ্চায়েতের বার্ষিক পরিকল্পনা খুব ভালো করে থাকি। তারজন্য আমরা রাজ্য ও কেন্দ্রস্তরে পুরস্কৃত হয়েছি। তাই প্ল্যানিং যদি ভুল হয় তাহলে তা রূপায়ণেও সময় লাগে। আমরা এবছরও যাতে ভালো প্ল্যান করতে পারি সেই নিয়ে এই কর্মশালায় আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, অনেক সময় মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হতে থাকে। সেই চাহিদা আমি বা আপনি ঠিক করব না। এক্ষত্রে আমি কেউ নই। তৃণমূলস্তরে গিয়ে পাড়া-বৈঠক করে মানুষ কী চাইছেন সেই চাহিদা তুলে এনে কাজ করতে হবে। মানুষের প্রকৃত যা দরকার সেই প্রকল্পটি বার্ষিক পরিকল্পনায় নথিভুক্ত করতে হবে। তাই এবারও আমরা গুরুত্বপূর্ণভাবে পঞ্চায়েতের প্ল্যান করব। এক্ষেত্রে দায়সারা প্ল্যান হলেই সাপ্লিমেন্টারি প্ল্যান করা হয়। ১০০শতাংশ সাপ্লিমেন্টারি প্ল্যানও হয়েছে। সেক্ষেত্রে বার্ষিক পরিকল্পনায় গাফিলতি ছিল বলে মনে করছি। তাই এবার বিশেষ কিছু বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১০০দিনের কাজের ক্ষেত্রেও আমরা কিছু প্যারামিটার দেখে কাজ করি। তার জন্য হয়তো আমরা কিছু পুরস্কার পাই। কিন্তু, মানুষ যদি কাজ চেয়ে না পান, তাঁকে কাজ দেওয়াটা বেশি দরকার নাকি তথ্যের উন্নতি দরকার?
জেলাশাসক বলেন, বর্তমানে জলসঙ্কট শুরু হয়েছে। তাই জল সংরক্ষণ নিয়ে ভাবতে হবে। চেকড্যাম সহ জল সংরক্ষণের নানা পরিকল্পনা নিতে হবে। সলিডওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়েও ভাবতে হবে। এছাড়া সব কাজের জন্য নজরদারি রাখতে হবে।
অন্যদিকে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, আমরা মনে করি, বীরভূমে পঞ্চায়েতগুলি ভালো কাজ করেছে। সেইজন্য রাজ্যস্তরে আমাদের জেলা সম্পর্কে ভালো ধারণা রয়েছে। তাই যতদিন যাচ্ছে আমাদের দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষকে আরও বেশি করে সুযোগ করে দেওয়া, তাঁদের কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া, বিভিন্ন কাজে গ্রামীণ মানুষের অংশগ্রহণই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য।
তাই আমরা দেখি, কিছু পঞ্চায়েত নিজেদের মধ্যে ঘরে বসে সেই কাজের বার্ষিক পরিকল্পনা করে। এবার কিন্তু সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে সেই প্ল্যানিং করার দিন এসেছে। তাই যাঁরা ভুল রাস্তায় হাঁটছেন তাঁদের বলব, প্রত্যেকটি মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের চাহিদামতো প্ল্যানিং করুন। তাঁরা কোন কাজ করতে বলছেন সেটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কাজের নিরিখে মানুষের স্বপ্ন যাতে আমরা পূরণ করতে পারি সেদিকে নজর রাখুন। পঞ্চায়েতে অনেকে নতুন দায়িত্ব পেয়ে এসেছেন। তাঁদের কাজ শিখতে হবে। অন্যের উপর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে হবে না। নিজেকে কাজ শিখে অন্যকে তা শেখাতে হবে।
প্রসঙ্গত, এদিন ওই কর্মশালায় জেলার ছ’টি পঞ্চায়েতকে পুরস্কৃত করা হয়। ২০১৮-’১৯ আর্থিকবর্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজের রূপায়ণের ভিত্তিতেই তাদের পুরস্কৃত করা হয়। ইলামবাজার, বড়সাঁওতা, কোমা, আমডোল, ভ্রমরকল, নারায়ণপুর পঞ্চায়েতকে স্মারক, শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। প্রথম তিনটি পঞ্চায়েতকে প্রজেক্টর দেওয়া হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের ব্লকের এক্সটেনশন অফিসারদেরও সম্মান দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতগুলি বার্ষিক পরিকল্পনা কীভাবে করবে এদিন তার রূপরেখা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।