কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
নবান্নর দিকে আঙুল তুলতে গিয়ে মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুজনবাবু তাঁর অভিযোগের স্বপক্ষে সাম্প্রতিক দু’টি ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এদিন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তলবি চিঠির জবাবে যে রিপোর্ট মুখ্যসচিব দিল্লিতে পাঠিয়েছেন, তা আদৌ সঠিক নয়। ওই জবাবি চিঠিতে মুখ্যসচিব বলেছেন, রাজ্যে হিংসার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসন দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কার্যত এভাবেই অসত্য রিপোর্ট বা জবাব পাঠিয়েছেন বা পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন মলয়বাবু। রাজ্য ও কেন্দ্র পারস্পরিকভাবে ভুল রিপোর্ট বা তথ্য পাঠাবে— এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কখনওই কাম্য নয়। প্রশাসন পরিচালনায় তা সাংবিধানিক রীতিনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ এই সরকারের আমলে কার্যত বিলীন হয়েছে। সর্বত্র পুলিসরাজ কায়েম করা হয়েছে। দিল্লির মসনদে ফের বসার সুবাদে তার সুযোগ নিতে আসরে নেমে পড়েছে অপর এক অগণতান্ত্রিক শক্তি বিজেপি।
কেন মুখ্যসচিব অসত্য তথ্য দিল্লিতে পাঠিয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চিঠিতে দু’টি উদাহরণ তুলে ধরেছেন সুজনবাবু। তিনি বলেন, এই ধরনের অজস্র উদাহরণ দেওয়া যায়। তবে আপাতত দু’টি ঘটনার কথা এ ব্যাপারে তুলে ধরছি। দিনকয়েক আগে সন্দেশখালির দু’নম্বর ব্লকের বিডিও এবং তাঁর সহকারী সরকারি কর্মচারীরা অফিসের মধ্যে কর্মরত অবস্থায় শাসক দলের পঞ্চায়েত নেতা এবং তাঁদের পেটোয়া দুষ্কৃতীদের হাতে বেধড়ক মার খেয়েছেন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত কর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই তাঁদের এই ‘শাস্তি’ পেতে হয়েছে। সেই বিডিও এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তিও রয়েছেন। এদিন তাঁকে আমরা পরিষদীয় দলের তরফে গিয়ে দেখেও এসেছি। রাজ্যজুড়ে এই ঘটনায় ছিছিক্কার পড়েছে। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হওয়ার পরও মূল অভিযুক্তরা সকলে অধরাই থেকে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে গত ৬ তারিখ সিপিএম কর্মী রাজু হালদারকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এক্ষেত্রেও শাসক দলের স্থানীয় নেতারা অভিযুক্ত হওয়ায় পুলিস তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। তাহলে সত্য কোনটা? স্থানীয় মানুষ যা জানে, নাকি মুখ্যসচিব দিল্লিতে যা তথ্য পাঠিয়েছেন বা পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন, সেটা? তিনি এদিন বলেন, আমরা কখনওই একটা নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেওয়ার জন্য ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের পক্ষে নই।