উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
কামারহাটি বিধানসভা এলাকায় একাধিক জায়গায় ঢুঁ মারলেই জানা যাবে, ইন্ডিয়া ফয়েলস থেকে শুরু করে একের পর এক কারখানার ঝাঁপ বন্ধ। সিন্ডিকেট রাজ আর তোলাবাজি চলছে। দমদম লোকসভার এই বিধানসভায় এসবের পিছনে শাসক দল তৃণমূলকে দায়ী করছে বিরোধীরা। এটাই তাদের লোকসভা ভোটের ইস্যু। আর এক সপ্তাহ পরই ভোট। ফলে ডান, বাম, গেরুয়া শিবিরের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, শাসক দলের ঘনিষ্ঠরা পাড়ায় পাড়ায় সিন্ডিকেট রাজ কায়েম করে রেখেছে। চারিদিকে তোলাবাজি চলছে। বাড়ি তৈরি করতে, ফ্ল্যাট করতে শাসক দলের নেতাদের এখন তোলা দিতে হয়। আর নতুন শিল্প আসা তো দূরের কথা, চালু কারখানায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তা খোলার বিষয়ে শাসক দলের কোনও ভুমিকা নেই। দখলদারির রাজনীতি চলছে। একের পর এক ক্লাবের দখল নিচ্ছে শাসক দল। তোলাবাজি নিয়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাঁকে প্রশ্ন করলাম, বিধায়ক হয়ে আপনি কোনও কাজ করেননি বলে তৃণমূলের অভিযোগ। মানসবাবু বলেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। আসলে আমাকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবুও, আমি প্রচুর কাজ করেছি। আর শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই ওদের ভরাডুবি হবে। বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ রায় বলেন, জুটমিলের বেহাল অবস্থা, কারখানা বন্ধ, আইন-শৃঙ্খলার অবনতির জেরে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের অপশাসন থেকে মানুষ মুক্তি পেতে চাইছে। ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে বলেই এখন ভোটারদের চমকাচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। নিজের ভোট দিতে পারলে, এখানে মানুষ আমাদের পক্ষেই এবার ভোট দেবেন।
বেলঘরিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, এই এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের নিরিখে তৃণমূলের পক্ষে মানুষ ভোট দেবে। সিন্ডিকেট রাজ, তোলাবাজি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ নেই। এই ধরনের অভিযোগ আসলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। আর দলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। মতানৈক্য রয়েছে। এখন সকলে জোটবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টা করছি। এবার মানুষ আমাদের পক্ষেই ভোট দেবে।