উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
শনিবার বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানের সমর্থনে হাড়োয়ার সার্কাস ময়দান এবং হাসনাবাদের মুরারিশার জনসভা থেকে তিনি বলেন, অনেক অজানা লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে। খেয়াল রাখুন। কালকেও উত্তরপ্রদেশ থেকে ১০ জন লোক কাঁথি এসে লুকিয়েছিল। ধরা পড়েছে। কেন বহিরাগত আসছে বাংলার নির্বাচনে? টাকা নিয়েও ঘুরে বেড়াচ্ছে। নেতারাও খেয়াল রাখুন। তিনি আরও বলেন, সীমান্তে বিএসএফ স্মাগলিং সামলাও। বিজেপিকে প্রশ্রয় দিও না। ওখান থেকে ওদের ঢুকতে দিও না।
তিনি বলেন, অজানা লোক দেখলেই বুঝবেন আরএসএসের লোক। তারা একটু একটু বাংলা শিখে এসেছে। বাইকে করে টাকা বিলি করছে। মা-বোনেরাও ভালো করে নজর রাখবেন। ত্রিপুরায় টাকা দিয়ে ভোট হয়েছিল। পুলিসের পোশাক পরেও কেউ ঢুকছে। যেভাবে নন্দীগ্রামে নকল পুলিস গ্রাম দখল করতে গিয়েছিল। আপনারাই আমার ওয়াচম্যান। দেখবেন, একটা টাকাও যাতে বিজেপি ঢোকাতে না পারে। একটা গুন্ডাও যাতে ঢোকাতে না পারে। কলকাতার হোটেলে, গেস্ট হাউসেও ওরা ঢুকছে। যারা যারা নজর রেখে ধরিয়ে দিতে পারবেন, তাঁদের আমরা পুরস্কৃত করব। গণতন্ত্রের জন্য।
টাকার বাক্স ইস্যুতে বলেন, পুলিস-প্রশাসনকে বলেছি, তুমি আমার গাড়ি চেক করো। আমাকে ছাড়বে না। আমাদের সবার গাড়ি চেক করো। আমার হেলিকপ্টার চেক করো। আমাকে দিয়েই তল্লাশি শুরু করো। কিন্তু, দিল্লির কোনও নেতার গাড়িও ছাড়বে না। প্রধানমন্ত্রী হোক, আর কোনও মন্ত্রীই হোক, যে কোনও মুখ্যমন্ত্রীই হোক, কারও গাড়ি ছাড়বে না। মোদির কপ্টারও তল্লাশি করো। আমি যেখানে হেলিকপ্টারে নামি, সেখানে নির্বাচন কমিশনের ক্যামেরা থাকে। মোদিবাবু আপনি যেখানে নামেন, সেখানে কেন ক্যামেরা থাকে না? এসব খেলা আমাকে দেখাবেন না। টাকা দিয়ে নেমেছেন?
হাড়োয়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতায় হাওলার মাধ্যমে বিজেপি অপারেট করছে। প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আমার সামনে হাওলা হলে আমি তো কী করতাম আপনারা জানেন। প্রথমেই এরা কলকাতার পুলিস কমিশনারকে বদল করল। কারণ, কলকাতায় হাওলা হলে বিজেপিকে যাতে কেউ ধরতে না পারে। বিধাননগরের কমিশনার বদল হল কেন? যাতে এয়ারপোর্টে টাকার বাক্স নিয়ে নামলে কেউ ধরতে না পারে। যাঁরা ছিলেন, তাঁরা থাকলে আমি নাকে-কানে জল দিয়ে বোঝাতাম কীভাবে টাকা নিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, অসমের একজন মন্ত্রী তিন কোটি সারদার থেকে নিয়েছেন। তিনি ডায়মন্ডহারবারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সিআরপিএফকে ম্যানেজ করতে। সব খোঁজ রাখি। রাত জেগে আমরা পাহারা দিচ্ছি। তিনি বলেন, ফণী যেখান দিয়ে ঢোকার কথা ছিল, আমি সেখানে ছিলাম। মোদিবাবু প্রচার করছিলেন। উনি নাকি আমাকে ফোনে পাননি। তুমি আমার মোবাইল নম্বর জানো না? রোজ তো ট্যাপ করো ফোন। কে কথা বলছে, কে মেসেজ করছে, সব তোমার আইবি তুলে নেয়।
দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে দমদম জেল গ্রাউন্ডের সভায় তৃণমূল নেত্রী বলেন, ঠান্ডা এলাকাগুলোয় আগে নির্বাচন হয়ে গেল। বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় এখন লু বইছে। ওখানে রবিবার ভোট। যা খুশি করছে। নরেন্দ্র মোদিকে যিনি তুলে এনেছিলেন, সেই আদবানিকেই টিকিট দেননি। ভুজে ভূমিকম্পের সময় আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম। দেখেছিলাম, একজন অটলজির ব্যাগ বইছেন। জিজ্ঞাসা করে জেনেছিলাম, ওনার নাম নরেন্দ্র মোদি। অটলজি বেঁচে থাকাকালীন মোদি তাঁর মুখও দেখতেন না। তাই এই মোদিকে আর নয়।