শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে কলকাতা পুরসভা। তারপরেই নিয়ম-কানুন আরও কড়া করার নির্দেশ দেন ফিরহাদ। এর মধ্যে উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটি অঞ্চলের শরৎ কলোনিতে একটি নির্মীয়মান বাড়ির একাংশ ভেঙে এক মহিলার মৃত্যু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে সর্বত্র বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত হয়। এক অফিসার বলেন, কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার পৃথক আইন রয়েছে। তার বাইরে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপালিটিস অ্যাক্ট আছে। যার আওতায় বাকি ১২৬টি পুরসভা পড়ে। সেই আইনে বেআইনি ও পুকুর ভরাট করে নির্মাণ রুখতে যে যাবতীয় নিয়ম-কানুন রয়েছে, সেগুলিকে একত্রিত করে এই ৫২ পাতার বই বানানো হয়েছে। যাতে পুরনো আইন খুঁজতে সময় নষ্ট না হয়। সহজেই সবটা হাতের কাছে মেলে। পাশাপাশি, বিভিন্ন সময় বিল্ডিং সংক্রান্ত যে সার্কুলারগুলি জারি হয়েছে, সেইগুলিও বইতে দেওয়া হয়েছ।
কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, দপ্তরের ওয়েবসাইটে অনলাইন বিল্ডিং প্ল্যান স্যাংশন সিস্টেম (ওবিপাস)-এর একটি ‘উইন্ডো’ রয়েছে। রাজ্যজুড়ে এর মাধ্যমেই বিভিন্ন পুর-এলাকার বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন দেওয়া হয়। ফিরহাদ জানান, সফ্টওয়্যার আপডেট করার কাজ চলছে। যাতে রেজিস্ট্রেশন অফিস (আইজিআর-সিএসআর) ও বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সহজেই জমা পড়া আবেদন আইনি না বেআইনি তা অনলাইনে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাবে।
অফিসাররা জানাচ্ছেন, সফ্টওয়্যার যতদিন না তৈরি হচ্ছে, ততদিন রেজিস্ট্রি অফিসকে বলা হয়েছে, নতুন বাড়ির ডিড রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে নকশার কাগজপত্র সঠিকভাবে দেখে নেওয়া হোক। বাড়িটি সিসি পেয়েছে কি না, সেই নথিও দেখে নিন। স্থানীয় পুরসভায় বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার থেকে অন্য কর্মীদেরও লাগাতার নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।