ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি জেলায় পাশের গড় হার ৮৯.৫৭ শতাংশ। পাশের হারে ছাত্রীদের টেক্কা দিয়েছে ছাত্ররা। ছাত্রদের সাফল্যের হার ৯৩.৪১ শতাংশ। সেখানে ছাত্রীদের সাফল্যের হার ৮৬.৫৯ শতাংশ। জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, জেলার সার্বিক ফলাফল আরও একটু ভালো হতে পারত। তবে গ্রামীণ হুগলির ফল ভালো হওয়া নিশ্চয়ই তৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। আমরা সার্বিক ফলাফল বিশ্লেষণ করব।
শিক্ষকদের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দিতে বাড়তি লড়াই করেছিল পাণ্ডুয়ার মেধাবী নীলাঙ্কন। তারই জেরেই মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া। পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা হলেও ছোটবেলা থেকে তার পড়াশোনা ব্যান্ডেলের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। সেখান থেকেই সে এবার মাধ্যমিকে কৃতীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, মেধাবী হলেও টেস্টে সাড়ে ৬০০-তে আটকে গিয়েছিল নীলাঙ্কন। তখন শিক্ষকরা তাকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। তাঁরা বলেন, তোমার থেকে আমাদের প্রত্যাশা আরও বেশি। তাঁরাই বেঁধে দিয়েছিলেন ৬৮০’র লক্ষ্যমাত্রা। বৃহস্পতিবার ৬৮৪ নম্বর সহ রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করার পর শিশুর সারল্য দেখা গিয়েছে নীলাঙ্কনের চেহারায়। সে বলে, শিক্ষকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি, এটাই বড় প্রাপ্তি। হুগলির পাণ্ডুয়ার বালিহাট্টা মোড়ের কাছে বাড়ি এই মেধাবী ছাত্রের। বাবা পার্থসারথী মণ্ডল কালনার একটি স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। মা সুজাতা মণ্ডল গৃহবধূ। নীলাঙ্কন বরাবরই ক্যুইজ নিয়ে উৎসাহী। সঙ্গে গিটারের প্রতি তাঁর বিরাট টান। নীলাঙ্কন জানিয়েছে, তার পাঁচজন গৃহশিক্ষক ছিলেন। পড়ার জন্য ধরা বাঁধা কোনও নিয়ম ছিল না। ভবিষ্যৎ নিয়েও সে তেমনভাবে পরিকল্পনা করেনি। তার বাবা বলেন, ও গবেষণা করার ইচ্ছা। আপাতত বিজ্ঞান নিয়েই পড়বে। নীলাঙ্কনের স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এই মেধাবী ছাত্রকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিলই। সেকারণেই আলাদা করে সময় দেওয়া হয়েছে। এদিকে, আরামবাগের গোঘাট ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা তপজ্যোতি বরাবরের মেধাবী। স্কুলে কখনও দ্বিতীয় হওয়ার ইতিহাস তার নেই। তপজ্যোতি বলে, আমি চিকিৎসক হতে চাই।