ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
কলকাতা শহরের প্রথম হয়েছে সোমদত্তা সামন্ত। রাজ্যের মধ্যে তার স্থান দশম। ৬৮৪ নম্বর পেয়েছে সে। কমলা গার্লস স্কুলের এই ছাত্রীর বাড়ি পাটুলি। সকাল থেকেই সে বাড়িতে হইহই কাণ্ড। স্কুল ড্রেস পরেই বসেছিল সোমদত্তা। তার বাবার ফোন বেজেই চলেছে। কাকা বাড়িতে রসগোল্লার থালা নিয়ে ঘুরছেন। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে লাগাতার কথা বলতে বলতে সোমদত্তা ক্লান্ত। স্কুলে যাওয়ার তাড়া রয়েছে তার। ‘ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা। এছাড়া বিশেষ কোনও বিষয়ের উপর যদি আগ্রহ জন্মায়, তা নিয়েও এগতে পারি,’ জানাল সোমদত্তা।
রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র নৈঋতরঞ্জন পালও চিকিত্সক হতে চায়। সে পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। কৃতী ছাত্রটি বলে, ‘বড় হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। তাই আমার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন।’ পঞ্চম শ্রেণি থেকেই রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশোনা করছে সে। নৈঋত পেয়েছে ৬৯১। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও হাতেখড়ি হয়নি তার। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকেই রাজ্যে ষষ্ঠ হয়েছে অলিভ গায়েন। সপ্তম স্থান পেয়েছে আলেখ্য মাইতি। নবম হয়েছে ঋতব্রত নাথ ও ঋত্বিক দত্ত। দশম হয়েছে শুভ্রকান্তি জানা। মিশন ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সারদা বিদ্যাপীঠ হাই স্কুল থেকে ঈশান বিশ্বাস রাজ্যের মধ্যে দশম হয়েছে। তার ইচ্ছা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার। ওই স্কুলেরই সায়নদীপ মান্না রাজ্যের মধ্যে নবম।
হুগলির এলিট কো-এড স্কুলের নীলাঙ্কন মণ্ডল রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান পেয়েছে। সে আগামিদিনে বিজ্ঞানের কোনও বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে বলে জানিয়েছে। হুগলির কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপাস স্কুলের ছাত্র তপজ্যোতি মণ্ডল চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সে পেয়েছে ৬৯০। তপজ্যোতিরও ইচ্ছা চিকিত্সক হওয়ার। হাওড়ার শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অরণ্যদেব বর্মন ৬৮৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে নবম। তার এখন থেকেই পাখির চোখ, আইআইটি খড়্গপুর। অঙ্ক নিয়ে পড়ার ইচ্ছে তার। মাধ্যমিকে অঙ্কের পেপারে ৯৯ পেয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্রী স্বর্ণালী ঘোষ দশম হয়েছে। এই জেলারই বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঞ্জল গঙ্গোপাধ্যায়ও দশম স্থানে। ওরা দু’জনেই গবেষণা করতে চায়। দু’জনেই জানিয়েছে পছন্দের বিষয় বিজ্ঞান।