উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
পুর কমিশনার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকা ওভারটাইম বাবদ ব্যয় হয়েছে। টাকা অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনও কার্পণ্য করা হয়নি। তারপরেও কাজের মানসিকতার অভাব দেখে অবাক ডেপুটি মেয়র থেকে পুর কমিশনার। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ওভারটাইম বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ের অর্থ কী? শুধু টাকাই খরচ হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অতীনবাবু অবশ্য বলেছেন, পুজোর মণ্ডপ এবং ব্যারিকেডের কারণে আমাদের র্যা পিড অ্যাকশন টিম সব এলাকায় ঢুকতে পারেনি। বাইরে থেকেই কাজ করে চলে গিয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়টিও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা ঠিকমতো তদারকি করেননি। বুধবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ডেঙ্গু এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে। কাউন্সিলারদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নিষ্ক্রিয় মনোভাব ছেড়ে উদ্যোগী হলে তবেই ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। পুর প্রশাসনিক মহলের মতে, শহরের ১৪৪ জন কাউন্সিলারই নিষ্ক্রিয়, তা বলা যাবে না। কারণ অনেকেই বছরের সিংহভাগ সময় মশা নিরোধক কর্মসূচিতে নিজেদের যুক্ত রাখেন। বৃহস্পতিবার ৮১ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রজেনলাল গাঙ্গুলি এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচিতে ব্যস্ত স্থানীয় কাউন্সিলার জুঁই বিশ্বাস। কাউন্সিলার বলেন, শিশুদের এদিন যে সুরক্ষা কবচ দেওয়া হল, তা হাতে পরে থাকলে দিনভর মশা কামড় থেকে রক্ষা করবে। একেকটা সুরক্ষা কবচের আয়ু ১৫-২০ দিন। মোট ৩০০ জন শিশুকে এমন সুরক্ষা কবচ দেওয়া হয় এদিন।
মুখ্য পতঙ্গবিদ ডঃ দেবাশিস বিশ্বাসের কথায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বিভিন্ন অংশে জল জমে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। যদি এক সেন্টিমিটার জলও জমে থাকে, সেখানে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা ইডিস ইজিপ্টাই ডিম পাড়তে পারে। যদি জল শুকিয়েও যায়, তারপরেও ডিম রয়ে যায়। কারণ, ইডিস ইজিপ্টাই মশার ডিম তিন-চার বছর অনায়াসে রয়ে যেতে পারে। পরবর্তীকাল সেখানে যদি সামান্য জলও জমে, তখন সেই ডিম থেকে লার্ভা জন্মাবেই। কারণ মশার চরিত্র এখন বদলাচ্ছে নিয়মিত।