উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় এদিন সকাল থেকে দুর্গত মানুষকে সরানোর কাজ শুরু হয়। ১ লক্ষ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে গভীর রাত পর্যন্ত নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। পরিস্থিতির মোকাবিলায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তিনটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে বুলবুলের প্রভাবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে শুরু করে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে কলকাতায় দু’জায়গায় গাছ পড়ার ঘটনা ঘটেছে। মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জের একটি অভিজাত ক্লাবের মধ্যে। গাছ পড়ে মারা যান শেখ সোহেল (২৮) নামে এক যুবক। এই ঘটনাটি ঘটে সকাল ১০টায়। তিনি ওই ক্লাবের কিচেন রুমে কাজ করতেন। এদিন তিনি যখন ক্লাবে ঢুকছিলেন, তখন গেটের সামনে থাকা একটি গাছ তাঁর মাথার উপর ভেঙে পড়ে। সন্ধ্যায় বালিগঞ্জের সানি পার্ক নামে একটি অভিজাত আবাসনে গাছ পড়ার ঘটনা ঘটে। তবে তাতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে আবাসনের মধ্যে থাকা দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ নবান্নে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসেই তিনি পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। বৈঠক করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রধান সচিব দুষ্যন্ত নারিয়ালা, রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র, রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুয়কায়স্থের সঙ্গে। পরে নবান্নের তিনতলায় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কন্ট্রোল রমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন ত্রাণ বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিস কর্তারা। দুষ্যন্ত নারিয়ালা মুখ্যমন্ত্রীকে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান কন্ট্রোল রুমে দেখান। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, রাত ৮ টা থেকে ১১টার মধ্যে বুলবুল প্রবেশ করবে।
মুখ্যমন্ত্রী তা শুনে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেন, যতক্ষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে, আমি নবান্নে আছি। ঘুর্ণিঝড়ে যে কোনও ক্ষতি হলে সবরকম ভাবে সরকার পাশে আছে। আগামী সোমবার যেসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে সেখানকার স্কুল ছুটি থাকবে। স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঘূর্ণিঝড়ে যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তাঁদের রাখতে হবে। ইতিমধ্যে ৩১৮টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। ২১৫টি জায়গায় খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসডিআরএফ-র ছ’টি, এনডিআরএফের ১০টি, ১৩৩৫জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধারের জন্য ৯৪টি বোট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নবান্নে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কলকাতা পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভার কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন। চিকিৎসকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোনও প্রয়োজনে তাঁরা চিকিৎসা করবেন। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নবান্নে সোমবারের পূর্ব নির্ধারিত প্রশাসনিক বৈঠক স্থগিত রাখা হল। সেই সঙ্গে আজ রবিবার নবি দিবস। শান্তিপূর্ণভাবে তা পালন করার জন্য সকলের কাছে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।